গৌরনদীর গ্রাম-গঞ্জে এখন ইয়াবা, নেশায় ঝুঁকছে তরুণরা !!
আরিফিন রিয়াদ(বরিশাল)::
গাঁজা ও ফেন্সিডিলের পর নতুন নেশা দ্রব্য হিসাবে যুক্ত ইয়াবা এখন একক রাজত্ব গেড়ে বসেছে বরিশালের গৌরনদী নেশার জগতে। গোলাপী বা হালকা লাল রংয়ের ছোট্ট এ ট্যাবলেটকে এখানকার মাদক সেবী ও বিক্রেতারা ‘বাবা’ নামে উল্লেখ করে। হর্সপাওয়ার বা গুটি নামেও কেনা-বেচা হয়ে থাকে।দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়াবার একচেটিয়া মার্কেট তৈরি হয়েছে বলে মাদক ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে। এ অঞ্চলের উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে এ মরণনেশা এখন অনায়াসে পাওয়া যাচ্ছে। তরুণ ও যুবকরা নতুন করে এ নেশার সাথে যুক্ত হচ্ছে। ফেন্সিডিল ও গাঁজাসেবীরাও এখন নিয়মিত ইয়াবা সেবন করছে। কদর বেড়েছে এ মরণনেশা দ্রব্যের।
৬-৭ বছর আগেও এখানে ফেন্সিডিলের রমরমা বাণিজ্য ছিল। যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ফেন্সিডিল এখানকার বাজারে পৌঁছতো। আনুমানিক পাঁচ বছর পূর্বে এখানে ইয়াবা ঢুকে পড়ে। ফেন্সিডিলের বাজারে ধস নামিয়ে ‘মাদকের সম্রাট’ বনে যায় ইয়াবা।
ফেন্সিডিল সেবীদের কাছে ইয়াবার কদর বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতারাও ব্যবসা পরিবর্তন করেন। খুচরা মাদক বিক্রেতারা জানায়, ফেন্সিডিলের চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ইয়াবা বহনে তাদের সুবিধা হয়েছে এবং নিরাপদে বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ইয়াবার নেশায় নতুন প্রজন্ম জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর- কিশোরীরা আসক্ত হচ্ছে এ মরণ নেশায়। মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এ নেশায় ঝুঁকছে । স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পূর্বেই তারা সহজ ইন্টারনেট পেয়ে অশ্লীল ছবির সাইটে ঢুকে বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ছবি দেখা ও ইয়াবা সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে, গৌরনদীর নামকরা সরকারি বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী এ নেশায় যুক্ত হওয়ার পর অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাধ্যমিক পর্যায়ের অনেক শিক্ষার্থীর এ নেশায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি অভিভাবকরা জানেনই না।
মাদক প্রতিরোধে কাজ করেন এনজিও টি,পি,ডি,ওর নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী বাবু। তিনি জানান, বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে নতুন প্রজন্ম। আগে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকিতে ছিল। এখন স্কুলের ছাত্ররা ঝুঁকছে ইয়াবার দিকে। দৌরনদীর মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ইয়াবা নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝেও কৌতূহল রয়েছে। সেই কৌতূহলের বশেই তারা প্রথমে বন্ধুদের সাথে শখের বশে সেবন করে। এরপর আসক্ত হয়ে পড়ে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সরোজ কুমার জানান, কে ইয়াবা সেবন করছে আর কে করছে না তা বোঝা মুশকিল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঘরে ঘরে মরণনেশা ইয়াবা পৌঁছে গেছে।
মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় এর বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না বলে মনে করেন গবেষকরা। ইয়াবার ক্রয়-বিক্রয়ের সময় যারা আটক হচ্ছে তারা সকলেই খুচরা বিক্রেতা। ব্যবসায়ীরা রাজধানী ঢাকা বা চট্টগ্রাম কিংবা চাঁদপুর থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে এখানে আসেন। তারা পাইকারি বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে কেটে পড়েন। তাদের ধরতে না পারায় ইয়াবা ঠেকানো যাচ্ছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূরবিস্তারিত পড়ুন
বরিশাল মহানগর বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছে বিদ্রোহীরা
বরিশাল মহানগর যুবদলের কমিটিতে স্থান না পাওয়াই বিএনপি অফিসে তালাবিস্তারিত পড়ুন
বরিশালে স্ত্রীকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, গরম রড দিয়ে শরীরে ছ্যাকা, ক্ষতস্থানে গুঁড়া মরিচ ও লবণ !
বরিশাল : জেলার গৌরনদী উপজেলার শরিফাবাদ গ্রামে স্ত্রীকে শিকল দিয়েবিস্তারিত পড়ুন