শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বেআইনি : বিএনপি

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গণবিরোধী প্রস্তাব প্রত্যাহার না করলে জনগণ আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছে দলটি।

আজ মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এসব কথা বলেন।

আলাল অভিযোগ করেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা না থাকায় গ্যাসের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একটি গণবিচ্ছিন্ন সরকারের যে কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না, তার সুস্পষ্ট প্রমাণের নতুন পর্ব হচ্ছে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব। মাত্র আট থেকে নয় মাস আগে সব ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বিধিবদ্ধ আইনানুযায়ী, এক বছরেরও কম সময়ে এ প্রস্তাব বেআইনি তথা আইন লঙ্ঘন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘গ্যাস ট্রান্সমিশন কমিশন কোম্পানি লিমিটেডে (জিটিসিএল) এখন প্রতি ইউনিট গ্যাসের সঞ্চালন ব্যয় হচ্ছে শূন্য দশমিক ১৫৬৫ টাকা। এটা বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৩৬৬৫ টাকা করার প্রস্তাবের ওপর শুনানি চলছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রোবাংলার সূত্র বলে, ১৯৯৮ সালে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির (পিএসসি) অধীনে দেশের কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কেনা শুরু হয়, ফলে ক্রয়মূল্য থেকে কম মূল্যে বিক্রি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।’ তিনি বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইন্ডাস্ট্রি ক্যাপটিভ শতভাগ বৃদ্ধি, দুই চুলা ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, এক চুলার বিল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করা হয়। বর্তমান প্রস্তাবে দুই চুলা ১২০০, এক চুলা ১০০০ টাকা, যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির প্রতি ইউনিট ৫৮ টাকা, অন্যান্য ক্ষেত্রে শতকরা ১০ ভাগ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘২০১৮-এর শুরু থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি শুরু হলে গ্যাসের ক্রয়মূল্য আরো বাড়বে, এ কারণে আগাম প্রস্তাব। এক বছর ধরে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত কমতে থাকলেও বাংলাদেশে সেটা সমন্বয় করা হয়নি, অথচ দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে গ্যাসের দাম। এর আগে বর্তমান অবৈধ সরকার আট দফা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। জনগণ ক্রমাগত অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এখন এলএনজির জন্য জনগণ মূল্যবৃদ্ধি বহন করবে কেন?’ তিনি বলেন, ‘জিটিসিএল বর্তমানে ৪০০ কোটি টাকা বছরে মুনাফা করছে, এ প্রতিষ্ঠানের একজন চাকরিজীবী বছরে চার লাখ টাকা বাড়তি বোনাস নিচ্ছে, যে কোম্পানি তার একজন কর্মজীবীকে এত বড় সুবিধা দিচ্ছে, তার বার্ষিক মুনাফা ২০০ কোটি টাকা। আমরা মনে করি, এরই মধ্যে বিপুল মুনাফা অর্জনকারী কোম্পানির গ্যাস সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।’

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, বিইআরসির কারিগরি কমিটি জানিয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিটিসিএলের রাজস্বের পরিমাণ চার হাজার ২৬৯ দশমিক ১৫ মিলিয়ন টাকা, মোট রাজস্বের চাহিদা সাত হাজার ৪৩৪ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টাকা, সে অনুযায়ী প্রতি মিটারে জিটিসিএলের খরচ দাঁড়ায় ৩২ পয়সা। তিনি বলেন, ‘তিতাসের পক্ষে ব্যাংকে এফডিআরের পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে। শেয়ার মার্কেটে তিতাস এরই মধ্যে ব্যবসা করে প্রচুর তহবিল সংগ্রহ করেছে। সেখানেও প্রতি বছর মুনাফা বাড়ছে, তাহলে কেন এই প্রস্তাব? পেট্রোবাংলাও এরই মধ্যেই অতীতের সকল লোকসান কাটিয়ে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য বহাল রেখে বর্তমানে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। অথচ এরই মধ্যে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রবণতাও দেখা দিয়েছে। পুনরায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে রপ্তানি বাণিজ্যেও সমস্যা দেখা দেবে, যা গোটা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যদি জনগণকে সেবা দেওয়ার পরিবর্তে বেসরকারি কোম্পানির মতো শুধু মুনাফার দিকেই ঝুঁকে পড়ে সেটা গণবিচ্ছিন্নতারই প্রমাণ বহন করে। গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম, অজস্র অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে সিস্টেম লসের নামে যে লুটপাট চলছে সেখানে সরকারি দলের নেতাদের রাশ টেনে ধরতে পারলে এই মূল্য বৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রয়োজনই পড়বে না। বিইআরসির একজন কর্মকর্তা গণশুনানিতে এরই মধ্যে বলেছেন, সরকারের পরামর্শ ও নির্দেশনায় এ মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব তারা আনয়ন করেছেন, তাহলে বিইআরসির যে বিধিবদ্ধ বিচারকের দায়িত্ব সেই দায়িত্ববোধ কোথায় গেল? রাষ্ট্রের সকল গণমুখী প্রতিষ্ঠানকে সরকারের সুবিধাভোগী অংশের ইঙ্গিত ও নির্দেশনায় এভাবে পরিচালিত করলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? এরই মধ্যে তো সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।’

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরো বলেন, ‘এখানে উল্লেখ্য, এরই মধ্যেই সরকার আবাসিক কাজে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে, তাহলে কোন স্বার্থান্বেষী মহলের সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য এই প্রস্তাব? এখন সরকার যদি ন্যূনতম জীবনমান ধারণের বেলায়ও জনগণকে দুর্দশায় ফেলে শুধু মুনাফাখোরই হয় তাহলে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে একদিন রাস্তায় নেমে আসবে। আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার, প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার ওপর কী প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা না করে দাম বাড়ানো হবে চরম খামখেয়ালিপনা এবং তা জনগণের জীবনযাত্রায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবেই নেমে আসবে। সুতরাং অবিলম্বে এই গণবিরোধী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল