শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

গ্রহণ কাটাতে পারবেন কি মোদী, প্রশ্ন শিল্পমহলে

বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিহারে হোঁচট খেতে পারে নরেন্দ্র মোদীর রথ। মোদী জমানায় অসহিষ্ণুতা বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই বিতর্কের ধাক্কা লাগতে পারে অর্থনীতিতে। কারণ সরকার ও বিরোধীদের বিবাদে সংসদ অচল হলে ভেস্তে যেতে পারে আর্থিক সংস্কার।

এই পরিস্থিতিতে ভাবমূর্তি ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সরকারের দিশা উন্নয়ন ও আর্থিক সংস্কারের দিকে ঘোরাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রাজধানীতে বিতর্ক তুঙ্গে। আগামিকাল অর্থ মন্ত্রক আয়োজিত ‘দিল্লি ইকনমিক কনক্লেভ’-এ উদ্বোধনী বক্তৃতা দেবেন তিনি। এত দিন ‘দিল্লি ইকনমিক কনক্লেভ’-এ দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদরাই আমন্ত্রিত হতেন। গত বছর অরুণ জেটলি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন হাজির ছিলেন। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের এই সম্মেলনে কোনও প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম। তাঁর জন্য সম্মেলনের আয়োজনও পাঁচতারা হোটেলের বদলে সরকারি বিজ্ঞান ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে। অনুষ্ঠানে যাতে ত্রুটি না থাকে সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দফতরও তৎপর।

স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে, এই সম্মেলনে মোদী কি অসহিষ্ণুতার অভিযোগের জবাব দেবেন? না কি তাঁর আর্থিক সংস্কারের ভবিষ্যৎ কর্মসূচির দিশা দেখাবেন? অর্থনীতিবিদদের থেকে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ইতিমধ্যে মোদী সরকারের অন্দরমহলে বিতর্কের মোড় গোমাংস থেকে সংস্কারের দিকে ঘোরানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। গত কাল অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) বিল পাশ করাতে কংগ্রেসের কিছু শর্ত মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন, উন্নয়ন ও শুধু উন্নয়নের কথাই বলেন। তাঁর কথার মধ্যে কোনও অসহিষ্ণুতা দেখা যায় না।’’ আর্থিক পরিস্থিতির বিশ্লেষক সংস্থা মুডি’জ অ্যানালিটিক্স মোদী সরকারকে সতর্ক করে বলেছিল, বিরোধীরা অসহিষ্ণুতা নিয়ে আক্রমণাত্মক হলে সংস্কার

হোঁচট খাবে। প্রধানমন্ত্রী দফতর গত কাল সেই বিবৃতিও খারিজ করে দিয়েছে। দফতরের যুক্তি, এটা সংস্থার এক নিচু তলার অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত মতামত ।

তবে বিতর্কের মোড় ঘোরাতে চাইলেও যে ঘুরছে, তা নয়। আজ মুডি’জ অ্যানালিটিক্সের তরফে বলা হয়েছে, ওই রিপোর্ট কারও ব্যক্তিগত মতামত নয়। তা সংস্থার নিজস্ব বিশ্লেষণ। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলীর কী অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ রয়েছে ওই রিপোর্টে। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলেই সংস্থাটির দাবি।

শুধু মুডি’জ-এর মতো সংস্থাই নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনও গত এক সপ্তাহে দু’বার ভিন্ন মত সম্পর্কে সহিষ্ণুতার প্রয়োজনের কথা বলেছেন। অর্থনীতিবিদ থেকে শিল্পমহলের অনেকেই মনে করছেন, অসহিষ্ণুতা ঘিরে এই বিবাদে সংসদ অচল হলে শুধু যে জমি বিল বা জিএসটি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সংস্কার হোঁচট খাবে তা নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভারতকে এড়িয়ে চলবেন। এর মধ্যেই বিহারে ভোটের ফল নিয়ে আশঙ্কার ছাপ পড়েছে শেয়ার বাজারে। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় ২৪৮.৭২ পয়েন্ট প়ড়ে গিয়েছে সেনসেক্স। বাজার বন্ধের সময়ে তা থিতু হয় ২৬৩০৪.২০ অঙ্কে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর জন্য অনেকটাই দায়ী বিহারের ভোটের ফলাফল নিয়ে আশঙ্কা। কারণ, বিহারে বিজেপির হার হলে ভারতের রাজনৈতিক চিত্রটি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন লগ্নিকারীদের অনেকেই। এর ফলে আর্থিক সংস্কার কর্মসূচি রূপায়ণের বিষয়টিও বিশ বাঁও জলে চলে যেতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।

শেয়ারের পাশাপাশি এ দিন পড়েছে টাকার দামও। টাকার দাম ২৬ পয়সা পড়ার ফলে এই দিন বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৫.৭৫ টাকা।

বাজারে অনিশ্চয়তা ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকায় সুদের হার বাড়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছেন লগ্নিকারীরা। এ দিনই মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরে সুদ বাড়ানোর ব্যাপারে ফের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই কারণেও কেউই এখন মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না বলে বাজার সূত্রের খবর। এ ছাড়া চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থার আর্থিক ফলাফল হতাশ করছে শেয়ার বাজারকে।

এমতাবস্থায় মোদী কি পারবেন তাঁর সরকার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিতে?

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের দিল্লি ইকনমিক কনক্লেভের ‘থিম’ হল ‘জন ধন-আধার-মোবাইল নম্বর’ বা ‘জ্যাম’-এর সংযুক্তিকরণ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার ও মোবাইল নম্বর একটি তথ্যভাণ্ডারে নিয়ে আসতে পারলে নাগরিক পরিষেবার চেহারাটাই বদলে যেতে পারবে। সকলের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রকল্পের সাফল্যের পরে যে লক্ষ্যে এগোতে চাইছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রীও সেই বিষয়েই বলবেন।

সরকারের একটাই আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী শুধু এ সব নিয়ে কথা বললে তাঁর বিরুদ্ধে ফের অসহিষ্ণুতা নিয়ে নীরবতার অভিযোগ উঠতে পারে। মোদী এই ভারসাম্য রেখে সংস্কারের পথে এগোতে পারেন কি না, এখন সেটাই প্রশ্ন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ