গ্রামীণফোনের তাহসান
তাহসান রহমান খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সংগীতশিল্পী, অভিনেতা ও মডেল। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান জনপ্রিয়। গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন। তাঁর গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্ক এখন আলোচনায়।
লিখেছেন মাহতাব হোসেন ছবি তুলেছেন শামছুল হক রিপন ১৯৯৮ সালে ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ড গড়েন সংগীতশিল্পী তাহসান। অল্পদিনের মধ্যেই দেশজুড়ে নাম ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় লেখক সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে ‘কাছের মানুষ’ ধারাবাহিক নাটকের মধ্য দিয়ে টেলিভিশন পর্দায় প্রবেশ। আর মডেল তাহসান প্রথম আলোচনায় আসেন পন্ডস ফেসওয়াশের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এতে তাহসানের বিপরীতে ছিলেন জেনি।
তাহসান বলেন, ‘পন্ডসের ওই বিজ্ঞাপনে জেনির প্রতি আমার মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। বিষয়টা ছিল, একটা মেয়েকে আমি ক্লাসে কখনোই খেয়াল করিনি। কিন্তু পন্ডস ফেসওয়াশ ব্যবহারে তাঁর চেহারায় যে লাবণ্য আসে, তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। এমনকি আমি তাকে পিত্জা খাওয়ার অফার করে বসি!’ বিজ্ঞাপনটি বেশ আলোচিত হয়। এরপর অনেক বিজ্ঞাপন করেছেন তাহসান। সম্প্রতি বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন করে আবার আলোচনায় এই তারকা। গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্ক নিয়ে সম্প্রতি তিনটি নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি হয়েছে। তাহসান বললেন, ‘বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখানো হয়েছে, পছন্দের মানুষ যত দূরেই যাক না কেন, সম্পর্কের দূরত্ব বাড়বে না কখনোই। এতে আমার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম।’
প্রথম বিজ্ঞাপনটিতে একজন সফল সংগীতশিল্পী হিসেবে তাহসান বিয়ে করেন পেশাদার আলোকচিত্রী মিমকে। কাজের তাগিদে মিমকে একাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটে যেতে হয়।
একটা আন্তনগর ট্রেন। শোভন চেয়ারে বসে আছেন মিম। সামনের টেবিলে তাঁর ক্যামেরা রাখা। রোয়াংছড়ির পথে ছুটছেন। হঠাৎ তাহসানের ফোন—ভাবলাম মিস করছ। তাই দিলাম কল। বিজ্ঞাপনটা করতে গিয়ে চমৎকার একটি স্টুডিও তৈরি করা হয়। ‘সেটা আমার নিজের স্টুডিওর চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। আমি তাঁকে অনুনয় করে বললাম, ভাই এই স্টুডিওটা আমাকে দিয়ে দেওয়া যায় না? যদিও জানি এটা একটা সেট। কিন্তু বিশ্বাসই হচ্ছিল না এটা বিজ্ঞাপনের জন্য নির্মিত।’ শুটিং সেটের স্টুডিওর প্রেমে পড়ার কথা এভাবেই জানালেন তাহসান। আদনান আল রাজীব বলেন, ‘বিজ্ঞাপন নির্মাণের প্রস্তাব পাওয়ার পর গল্পগুলো ভালো করে পড়ে ফেলি। তখনই মনে হলো, যেহেতু অভিনয়নির্ভর বিজ্ঞাপন, অতএব ভ্যারিয়েশন আনতে হবে। সে চেষ্টাই করেছি। বাকিটা দর্শকরা বলবেন কেমন হয়েছে।’ তিনটি বিজ্ঞাপনের একটি এখন প্রচার হচ্ছে। তাহসান জানান, প্রতিটি বিজ্ঞাপনেই একটি চমৎকার গল্প রয়েছে। আবার যখন তিনটি বিজ্ঞাপনই প্রচার হতে থাকবে, তখন মনে হবে তিনটি বিজ্ঞাপন মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কাহিনী। বিজ্ঞাপনটি ক্যামেরায় তুলে এনেছেন কামরুল হাসান খসরু। শুটিং হয়েছে ঢাকা ও বান্দরবানে। শুটিং অধিকাংশ সময়ই নাকি বোরিং হয়। কিন্তু তাহসান জানালেন ভিন্ন কথা। গ্রামীণফোনের এই বিজ্ঞাপনগুলো করতে গিয়ে স্মরণীয় কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। কেমন? তাহসান বলেন, ‘বান্দরবানে শুটিং করছি। রাত তখন ৯টার মতো বাজে। পাহাড়ে রাত ৯টা মানে মধ্যরাত। ইউনিটের কয়েকজন বলল, রাতের খাবার বাইরে খাব। বাইরে বলতে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে পাহাড়িদের একটা রেস্টুরেন্টে চাঁদের গাড়িতে (পাহাড়ে চলে এমন জিপ) রওনা হয়ে গেলাম। কী ভয়ংকর পাহাড়ি পথ। একটু এদিক-ওদিক হলেই পাহাড়ের খাদে পড়বে। আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয় নেই। আমি গাড়িতে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের নিশুতি বাতাস গায়ে মেখে যাচ্ছি। শাঁ শাঁ করে গাড়ি ছুটছে। ঠিক যেন স্কুল লাইফের মতো একটা মুহূর্ত পেয়ে গেলাম।
যখন রেস্টুরেন্টে পৌঁছলাম তখন ক্ষুধায় পেট চো চো করছে। দ্রুত হাত ধুয়ে খেতে বসে আকাশ থেকে পড়ার উপক্রম। একি! খাবারের প্লেটে ব্যাঙ ভাজি—মানে আস্ত ব্যাঙ ফ্রাই, শার্ক, অক্টোপাসের একটা খাবার! আমি লাফ মেরে টেবিল থেকে উঠে পড়লাম। পরে অবশ্য আমার জন্য নরমাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’ বলেই হেসে ওঠেন বর্তমান প্রজন্মের হার্টথ্রব এই মডেল-গায়ক-অভিনেতা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন