গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন জুহি চৌধুরী
শিশুপাচারকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী। ভারত-নেপাল সীমান্তের দার্জিলিংয়ের খড়িবাড়ি থেকে তাঁকে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে সিআইডি। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, জুহি চৌধুরী নেপাল পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিলেন। তবে সেই ছক বানচাল করে সিআইডি আধিকারিকরা জুহিকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয়।
জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম জড়ানোর পরই তিনি আত্মগোপন করেন। সিআইডি আধিকারিকরা মনে করেছিলেন জুহি দিল্লিতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। সেইমতো তাঁকে গ্রেফতার করতে দিল্লি রওনা দেন সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন ভারত-নেপাল সীমান্তে রয়েছেন জুহি। তাঁর মোবাইল ট্র্যাক করে সিআইডি জানতে পারে।
সেইমতো জুহিকে পাকড়াও করতে জাল গুটিয়ে আনে সিআইডি নেপাল পলানোর আগেই তাঁকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকালই জলপাইগুড়ি শিশুপাচার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর ঘাড়েই সমস্ত দায় চাপান।
তবে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্যও দিয়েছেন জুহি চৌধুরী। কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন চন্দনা চক্রবর্তীকে, দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন কার কার সঙ্গে- বৃহস্পতিবার পিনটেল ভিলেজে জুহি চৌধুরীকে এই ধরনের প্রশ্ন করল সিআইডি। দিনের শেষে গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হল, জেরায় কয়েক জন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে।
শিশু পাচার চক্রের দুই অভিযুক্ত চন্দনা ও জুহিকে এ দিন পিনটেল ভিলেজে বসিয়ে জেরা করেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তাঁদের এ দিন একসঙ্গে বসানো হয়নি। দু’জনকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সিআইডি মূলত জানতে চেয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রভাবশালী কেউ জডিত আছেন কি না। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, চন্দনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, জুহি বা তাঁর বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছাডা আর কোনও নেতা তাঁকে সাহায্য করেছেন কি না।
তদন্তকারীদের দাবি, ২৬ জানুয়ারি জুহির বাডিতে চন্দনা গিয়ে কী আলোচনা করেন ও ২ ফেব্রুয়ারি চন্দনা, জুহি আর রবীন্দ্রবাবু দিল্লি গিয়ে কার কার সঙ্গে বৈঠক করেন, তা জানতে চাওয়া হয়।
সিআইডি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, জুহি তাদের কাছে স্বীকার করেছেন, কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলাতে চন্দনাকে তিনি দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা খতিয়ে দেখছেন চন্দনার হোমের সঙ্গে জুহির যোগসূত্রও। গত ফেব্রুয়ারিতে হোমের কিছু লেনদেনের কাগজ হাতে এসেছে সিআইডির। টাকার অঙ্কে যা সোড ৪ লক্ষ।
সেখানে দেখা গিয়েছে, চন্দনাদেবীর সংস্থার দুই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাগ করে টাকা জমা পেডছে। চেকে জমা পডা টাকা জলপাইগুডির তিন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে। তাঁরা জুহির অত্যন্ত পরিচিত বলেই সিআইডি-র দাবি। তাই নতুন কোনও হোম খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছিল কি না, তা-ও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন