ঘটনাটি ছোট বোন ও ভাই ছাড়া আর কেউ জানতনাঃ নোয়াখালীতে নির্যাতন শেষে স্ত্রীকে তালাক নোটিশ
আশ্রাফুল তানজিল, নোয়াখালী : নোয়াখালী সদর উপজেলার মহব্বতপুর এলাকার নিজ চাচাতো বোন বিবি খোদেজা কে ২০০৩ সালে বিয়ে করে ইমাম উদ্দীন নাজিম। বিয়ের কিছুদিন পার হতে না হতেই নাজিম স্ত্রীকে মারধর শরু করে। কারনে অকারনে খোদেজাকে প্রায়শই মারত নাজিম। এমনকি বিভিন্ন ভাবে আত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে বাপের বাড়ীতে পাঠাতো টাকা আনার জন্য।
কান্না জড়িত কণ্ঠে আমাদের কণ্ঠস্বরকে অসহায় খোদেজা বলেন, স্বামীর সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা করেছি আমি। শত নির্যাতন সহ্য করে বাবাকে ভূলিয়ে-ভালিয়ে, বলে-কহে টাকা এনে দিতাম স্বামী নাজিমকে।
এভাবে শ্বশুর থেকে অনেক বারই টাকা আনিয়েছিল নাজিম। কিন্তু পটভূমি এখানেই শেষ নয়। ভিতরে ভিতরে নাজিম ঢাকা শহরের এক নারীর প্রেমে লিপ্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তিতে জানা যায় তার পরকীয়া প্রেমের নায়িকা হলো একটি কাজের মেয়ে। ফোনে আলাপ চারিতায় নাজিম তার প্রেমে পড়ে যায়। একদা সেই প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গেলে মেয়েটি তাকে ফাঁদে ফেলে দেয় এবং বিয়ে করতে বাধ্য করে।
এদিকে খাদিজার ঘরে নাজিমের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। তাতে কি স্ত্রীর উপর নির্যাতনের বলি বিন্দু মাত্রও কমায়নি নাজিম। পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে নাজিমের বাড়ীতে তার ছোট ভাই এবং বোন ছাড়া আর কেউ জানত না। অবশেষে ২০১৭ সালের শুরুর দিকে কোন একদিন প্রথম স্ত্রী খোদেজা জানতে পারে পুরো বিষয়টি। খোদেজা বিষয়টি জানতে পারল কেন এটাই ছিল খোদেজার মস্তবড় অপরাধ। নাজিম শুরু করে দেয় দ্বিগুন হারে অমানুষিক অত্যাচার আর নিপিড়ন। এরপর স্ত্রীকে পিটিয়ে বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় এবং তালাক নোটিশ দিয়ে খোদেজার জীবনে স্বামী আর প্রিয় সংসার ধরে রাখার সবটুকু স্বপ্ন নি:শেষ করে দেয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সতের বছর বয়সী এক কিশোরীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন
নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাবিস্তারিত পড়ুন