‘ঘরে’ ফেরার লড়াই বনাম ‘ঘরে’ ঢোকার লড়াই
আপন ঘরে পরবাসী কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন ফিরবেন বলে-তাসকিন, রুবেল, জোবায়ের। কেউ আবার প্রথম বারের মতো জাতীয় দলের ওই ‘ঘরে’ ঢুকতে চাইবেন-মিরাজ, মোসাদ্দেক। দেশের একমাত্র ৫০ ওভারের মেগা টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এবার এই দুটি বিষয়ই রোমাঞ্চ ছড়াবে।
ইতিমধ্যে দলবদল শেষ হয়েছে। বল মাঠে গড়াবে ২২ এপ্রিল। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলার আগে সম্ভবত এটাই টাইগারদের একমাত্র টুর্নামেন্ট। টেস্ট দল গড়ার আগে নির্বাচকরা এই টুর্নামেন্টের দিকে দৃষ্টি রাখবেন, সেটা হলফ করে বলা যায়। সেই দৃষ্টির সীমানায় পাঁচজনের যে কারো থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
মোসাদ্দেক হোসেন: লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটে অপার এক সম্ভাবনার নাম। বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলেও ওয়ানডে কিংবা টেস্টে এখনো বিবেচিত হননি ২০ বছরের এই তরুণ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫ বলে ১৯ করেছিলেন। তাতেই ক্লাসিক ক্রিকেটারের ছোঁয়া দেখা গেছে তার মাঝে। আরেকটু পরিণত হলে মিডল অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক হতে পারেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে মোসাদ্দেকই সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে গড় ৭০.৮৯। মাত্র ১৮টি ম্যাচ খেলে সাতটি শতক এবং ছয়টি অর্ধশতকের মালিক তিনি। সর্বোচ্চ ইনিংস ২৮২ রানের। বছরের যে কোনো একটি টেস্ট সিরিজে তাকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মেহেদি হাসান মিরাজ: গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়। দলটির অধিনায়কও। অলরাউন্ডার হওয়ায় জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া তার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ২০১৫ সালে। এই অল্প সময়ে তিনবার পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে হয়তো আর খেলা হবে না এই তরুণের। সামনে যা অপেক্ষা করছে, তাতে নিশ্চয়ই আর ওই দলে খেলতেও চাইবেন তিনি!
জোবায়ের হোসেন: জোবায়ের এক ‘হতভাগ্য’ ক্রিকেটারের নাম। জাতীয় দলে ভাল করেও যিনি বিপিএলে দল পান না, ডিপিএলে দল পেতে অপেক্ষায় থাকতে হয়। দল পেলেও একাদশে থাকবেন কি না তা নিয়েও থাকতে হয় চিন্তায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লেগ স্পিনার নাকি অতটা কার্যকরী নয়, এই দোহাই দিয়ে জোবায়েরকে দলে নিতে চান না মালিকরা। গত বছর জোবায়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে নাম লেখান। জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহের কারণে তাকে কয়েকবার দলে রাখতে বাধ্য হন জাতীয় নির্বাচকরা। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্টেও দলে দেখা যেতে পারে। জুবায়েরের জন্য এই সম্ভাবনা আর উজ্জ্বল হবে যদি ডিপিএলে ঢাকা আবাহনী তাকে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয়।
তাসকিন আহমেদ: বিশ্বকাপ খেলতে যেয়ে নির্বাসিত হয়েছেন। অপেক্ষায় আছেন অ্যাকশন শুধরে ফিরে আসার। ডিপিএলে আবাহনীর হয়ে খেলতে দেখা যাবে এই পেসারকে। ইতিমধ্যে অ্যাকশন শোধরানোর কাজ শুরু করেছেন। সামনের মাসের কোনো এক সময় পরীক্ষা দিতে যেতে পারেন। কোচ হিথ স্ট্রিক জানিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে তাসকিনের ফিরে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেননা তার তেমন একটা অসুবিধা নেই। শুধু মাত্র বাউন্সারগুলোতে সমস্যা আছে। সেগুলো ঠিক করতে বেশিদিন সময় লাগার কথা নয়।
রুবেল হোসেন: ওয়ানডে বিশ্বকাপের নায়ক ইনজুরিতে পড়ে ঘরছাড়া অনেকদিন। তার মধ্যে আবার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন। সুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে গিয়েছিলেন। আজকালের মধ্যে ঢাকায় ফেরার কথা। কয়েকদিন আগে ফোনে নিজেই জানান, মাঠে ফেরার তর সইছে না। দুএকটি বিধ্বংসী স্পেল করতে নাকি মুখিয়ে আছেন!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন