ঘামের প্রতিটা বিন্দুতে উজাড় করে দিতে চান মুশফিক
সেঞ্চুরি করেও মাঠ ছাড়লেন থমথমে মুখ নিয়ে। ভিক্টোরিয়ার কাছে যে শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে তার দল মোহামেডান! কথা বলার আগ্রহ দেখিয়ে দুই পা তাঁর দিকে এগোতেই তাই চোখের তীব্র চাহনি হজম করতে হলো। মেরুন রঙের গাড়িটাতে উঠে সাঁই করে বের হয়ে গেলেন বিকেএসপি থেকে।
গত এপ্রিলের সেই মুশফিকুর রহিম আর এখনকার মুশফিকুর রহিমের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সময়ের স্রোত যেন জমে থাকা হতাশাকে নিয়ে গেছে বহু দূর। গত পরশু দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দেওয়া দীর্ঘ একান্ত সাক্ষাৎকারে খুলে দিলেন মনের সব কটা জানালা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়েও ‘অদ্ভুত’ এক ক্যাচ তুলে ফিরে আসা, নিজেকে গুটিয়ে রেখে সব সমালোচনা মুখ বুজে সহ্য করা থেকে শুরু করে ‘অভিমানী’ মুশফিকের চরিত্র বিশ্লেষণ, প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স, লিগের মাঝপথে মোহামেডানের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া, টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা, ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মূল্যায়ন—কী নিয়ে কথা বলেননি মুশফিক!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফর্ম ভালো যাচ্ছিল না মুশফিকের। তামিম ইকবাল তবু তখন বলেছিলেন, মুশফিকুর রহিমই বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। কথাটা শুনে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে হাসিতে বিগলিত মুশফিক, ‘ও দারুণ একটা অনুপ্রেরণাদায়ক কথা বলেছে। আমি কখনোই মনে করি না আমি সেরা।
তবে বিশ্বাস করি আমার সেরা হওয়ার সামর্থ্য আছে। এ জন্যই হয়তো তামিম ওই কথা বলেছে। তবে তামিমের মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলতে পেরে আমিও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা মাঠ এবং মাঠের বাইরে একে অন্যকে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। আমার মনে হয় তামিম যে কথাটা বলেছে তা সেটারই একটা প্রমাণ।
মুশফিকের আত্মবিশ্বাসে সবচেয়ে বড় সঞ্জীবনী গত কয়েক বছরের ওয়ানডে পারফরম্যান্স, ‘যেভাবে শুরু করেছিলাম তার তুলনায় গত তিন-চার বছরে আমি নিজের ওপর অনেক সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে। টেস্টে গত বছর একটু খারাপ খেললেও তার আগের দুই বছর অনেক ভালো খেলেছি।
বাংলাদেশ দলের অন্য ক্রিকেটারদের চেয়ে একটু বেশিই পরিশ্রম করেন মুশফিক। ছুটির দিনেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকেন নেটে। ঘামের প্রতিটা বিন্দু জানে কতটা তাঁর আত্মনিবেদন, শ্রম, সাধনা। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ এবং সতীর্থদের মধ্যেও এর পক্ষে-বিপক্ষে মত আছে।
তবে মুশফিক এর ইতিবাচক দিকটাই বেশি দেখেন, ‘যে কঠোর পরিশ্রমটা করছি তার ফলই আমি পাচ্ছি। ক্রিকেটার হিসেবে যেভাবে পরিণত হচ্ছি সেটা সন্তোষজনক। ইনশা আল্লাহ আরও উন্নতি করার সুযোগ আছে। আমার কাছে সেটাই সবাই আশা করে। সিনিয়র খেলোয়াড় এবং টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমারও লক্ষ্য দলের জন্য ভালো খেলা।-প্রথম আলো
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন