ঘুমের সমস্যা দূর করতে চাইলে জেনে রাখুন
ঘুম মানুষের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে শুধু শরীরই নয়, মানুষের শারীরিক ও মানসিক সামগ্রীক সুস্থতার জন্যও এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
১. ওষুধ নয়
কৃত্রিমভাবে ঘুম আনার চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকেই ঘুমের ওষুধ সেবন করেন। যদিও এটি নানা কারণে ক্ষতিকর। এছাড়া একবার ঘুমের ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা বাদ দেওয়াও কঠিন। তাই ঘুমের ওষুধ থেকে দূরে থাকা উচিত।
২. ক্যাফেইন বাদ দিন
চা-কফিতে থাকা ক্যাফেইনের কারণে অনেকেরই ঘুম হয় না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্যাফেইন বাদ দিতে হবে কিংবা সীমিত করতে হবে। তবে কেউ যদি ক্যাফেইন বাদ দিতে না পারেন তাহলে অন্তত বিকাল থেকে ক্যাফেইন গ্রহণ বাদ দিতে হবে। তাতে যদি সমস্যা না যায় তাহলে দুপুরের খাবারের পর থেকেই ক্যাফেইন গ্রহণ করা যাবে না।
৩. নীল বাতি নয়
ঘুম আসতে বাধাস্বরূপ কাজ করে নীল আলো। মূলত নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণেই তা মানুষের ঘুম দূর করে দেয়। এক্ষেত্রে আপনার কক্ষে যদি নীল বাতি থাকে তাহলে তা ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগেই বন্ধ করুন এবং ক্রিম কিংবা হালকা লাল বাতি জ্বালান। এছাড়া আপনার কক্ষের টিভি, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও অন্য যে কোনো মনিটর থেকেও নীল আলো বিচ্ছুরিত হতে পারে। ঘুমের জন্য তাই আগেই এগুলো বন্ধ করুন।
৪. প্রতিদিন একই সময়ে উঠুন
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ুন। এজন্য প্রথম কয়েকদিন ঘুম আসতে যদি বা দেরিও হয় তার পরেও নির্দিষ্ট সময়ে উঠে পড়ুন। এতে ঘুমের একটি নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে উঠবে আর সময়মতো ঘুমও চলে আসবে।
৫. প্রতিদিনই নিয়ম মানুন
অনেকেই সপ্তাহান্তে কিংবা ছুটির দিনে ঘুমের অনিয়ম করেন। ছুটি পেয়ে অনেকে বেশি করে ঘুমিয়ে নেন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে একেবারেই ঘুমান না। তবে আপনার যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে উভয় বিষয়ই ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।
৬. আপনার ঘুমকে জানুন
প্রত্যেকেরই ঘুমের নিজস্ব ধরন রয়েছে। আপনার নিজের ঘুমের সঠিক ধরনটি জেনে নিন। কোন পরিবেশে আপনার ভালো ঘুম হয় এটি যেমন জানা প্রয়োজন তেমন প্রতিদিন আপনার কতক্ষণ ঘুমালে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়, তাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শরীর সুস্থ রাখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমের প্রয়োজন হয়। আর আপনার ঘুম যদি এ থেকে কম হয় তাহলে ধীরে ধীরে ঘুমের মাত্রা এ সময়ের মধ্যে নিয়ে আসুন।
৭. কাজ বন্ধ করুন
ঘুমের আগে আপনার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো কাজ করা অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। স্মার্টফোন, ট্যাব কিংবা কম্পিউটারে পড়ার অভ্যাস থাকলে তা ঘুমের আগে কিছুক্ষণ বন্ধ রাখুন।
৮. ব্যাঘাতগুলো চিহ্নিত করুন
যেসব কারণে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে, সেসব কারণ চিহ্নিত করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। যদি রাস্তার বাতির আলো আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে ভারি পর্দা লাগান। আশপাশে যদি উচ্চশব্দ হয় তাহলে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করুন। মোবাইল ফোনে অযাচিত কল আসলে সেটি আগেই সাইলেন্স করে রাখুন। ঘুমের আগে বেশি পান করা বাদ দিন।
৯. মেডিটেশন
মেডিটেশনের মাধ্যমে মন শান্ত হয়। এতে ভালো ঘুম আনা যায় এবং ঘুমের মানও উন্নত করা যায়। এজন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন ২০ থেকে ৪০ মিনিট মেডিটেশন করতে পারেন। এতে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন