ঘূর্ণিঝড় নাডার প্রভাবে সাগরে ১১ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৮৫

ঘূর্ণিঝড় নাডার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে ১১টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ৫ ট্রলারসহ ৮৫ জেলে। এই তথ্য জানিয়েছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য খুলনা জোনের নৌবাহিনীর ২টি উদ্ধারকারী জাহাজসহ বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতি, বরিশাল র্যাব-৮ ও পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের ৮টি ট্রলার সাগরে উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে এফবি শুকতারা, এফবি নজমুল, এফবি ভাই ভাই, এফবি মা-বাবার দোয়া, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি হাবিব, এফবি মা-বাবার দোয়া-১, এফবি জলিল ও এফবি গাজীর নাম পাওয়া গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ সকল জেলের বাড়ি কলাপাড়া, মহিপুর, পাথরঘাটা ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এদিকে, নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো এফবি মেহেরীন, এফবি নুরবানু, এফবি রোমানা, এফবি তামান্না ও এফবি আসলাম। নিখোঁজ জেলেদের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছে তাদের পরিবারসমূহ। কোস্ট গার্ডের পশ্চিম জোনের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার হাসান জেলেদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিড়ের প্রভাবে সকালের দিকে সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়। এসময় গভীর সমুদ্র থেকে শত শত মাছ ধরার ট্রলার বহর দিয়ে (সারিবদ্ধ ভাবে) সুন্দরবন এলাকায় নিরাপদ আশ্রয় আসছিল। সকাল ৮টার সময় শতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের ভিতরে আশ্রয় নিলেও ১১টি ট্রলার ঢেউয়ের তোড়ে সাগরের বিশখালী ও বলেশ্বরের মোহনায় ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা লাইফ জ্যাকেট, বয়া ইত্যাদি ধরে জেলেরা ভাসতে থাকলে পাথরঘাটার একটি ফিশিং ট্রলারে জেলেদের উদ্ধার করে পাথরঘাটায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আমন ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের সবজি চাষিরা। প্রচণ্ড দমকা বাতাস ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় সব সবজি নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’র প্রভাবে মিরসরাইয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাসে গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুত্হীন রয়েছে পুরো উপজেলা।
এছাড়া কাঁচা-পাকা গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন ও জন চলাচলে দারুণ অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলো। গতকাল রবিবার সকালে মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, বরবটি, শিম, লাউ, চিচিংগা, করলা, খিরা, টমেটো, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গাসহ সব সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমন ধানেরও ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, দুর্গাপুর, মিরসরাই সদর, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে গিয়ে মানুষের যাতায়াতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন