ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’ আতঙ্কে ভোলার উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় নাডা’র প্রভাবে ভোলায় তিনদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ বাতাস বইছে। মেঘলা আবহাওয়ায় চারিদিকে শুনশান নিরবতা। বাজার কিংবা রাস্তা-ঘাট কোথাও নেই মানুষের আনা-গোনা। চলছে প্রশাসন কর্তৃক সতর্কতামূলক মাইকিং।
খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আবহাওয়ার এহেন অবস্থায় ভোলার উপকূলের প্রায় ১০ লাখ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের বন্দরগুলোতে বিপদ সঙ্কেত ৩ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৪ নম্বর করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এতে করে নড়েচড়ে বসেছে ভোলা জেলা প্রশাসন। জেলার সকল নৌরুটে যাত্রী পারাপারের যানবাহনগুলো ছেড়ে যায়নি। রাত্রী যতই ঘনিয়ে আসছে উপকূল এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ততই বাড়ছে ।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, এখনো পর্যন্ত বাড়িতেই আছি। তবে অবস্থা বেশি খারাপ মনে হলে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন বলে জানান।
ভোলা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় নাডার প্রভাবে শনিবারসহ গত তিনদিন ধরে ভোলায় বৃষ্টি ও থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে। এ ব্যাপারে ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় জরুরি মিটিং করা হয়।
বিচ্ছিন্ন চরগুলো থেকে জনসাধারনকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে। কয়েটি উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট মাইকিং করছে। কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। এছাড়া জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অপরদিকে সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়গ্রহণ করেছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন