চকরিয়ায় ৬ বছরের শিশু, বীরগঞ্জে ৭ বছরের ও মির্জাপুরে ৯ বছরের শিশু গণধর্ষণের শিকার !
এ লজ্জা কার ?
গতকাল মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর দেশের তিনজেলায় তিনজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী শিকার হয়েছেন বিকৃত লালসা ও ভয়াবহ ধর্ষণের। তিনজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে গনধর্ষণের শিকার হওয়া একজন সহ দুই শিশুর অবস্থা আশংকাজনক। হাসপাতালের বেডে তাদের আর্তচিতকার আর অবাক চোখে নিস্পলক তাকিয়ে থাকা যেনো চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধিক্কার দিচ্ছে এই সমাজকেই…।
প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে বিস্তারিত..
বীরগঞ্জ প্রতিনিধি,
৭ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোঃ আব্দুল হালিম (৩২) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের বিজয়পুর কবিরাজহাটের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব হুমায়ুন কবিরের বাড়ীর ছাদে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত আব্দুল হালিম বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউনিয়নের বিজয়পুর কবিরাজহাটের বাসিন্দা মোর্শদ আলীর ছেলে।
বাড়ীর মালিক ব্যবসায়ী আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির জানান, মেয়েটি আমার আত্মীয়। তার বাড়ী বীরগঞ্জের মোহাম্মদ ইউনিয়নের মাহানপুর গ্রামে। ঈদের আগে আমার বাড়ীতে বেড়াতে আসে মেয়েটি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় বাড়ীর ছাদে কাপড় তুলতে যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ছাদে গোপনে অবস্থায় নেওয়া প্রতিবেশী আব্দুল হালিম ছাদের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর জোড়পূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির আর্তচিৎকারে হালিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকার লোকজন তাকে বটতলী নামক স্থানে আটক করে। এরপর মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ শাহীন জানান, মেয়েটি রক্ত বন্ধের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হতে পারে।
বীরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ শাহাদত হোসেন জানান, অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি বীরগঞ্জ থানার ওসি আবু আককাছ আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মির্জাপুরে তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার
মির্জাপুর প্রতিনিধি,
পাষণ্ড বখাটেদের হাতে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর বখাটেরা এলাকা থেকে সটকে পড়ে বলে ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে। ঘটনার পর ঐ এলাকায় তীব্র ক্ষোভ আর উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে।
ছাত্রীর মা জানান, দুই কন্যা নিয়ে তিনি রাজাবাড়ি এলাকায় প্রথমে গার্মেন্টেসে কাজ করতেন এবং স্বামী শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। তার স্বামী তাকে ও তার কন্যাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় দুই কন্যা নিয়ে রাজাবাড়ি কলেজ সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে থেকে বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করে সংসারসহ মেয়েদের পড়াশোনা করাতেন।
তিনি অভিযোগ করেন,গতকাল মঙ্গলবার গবড়া গ্রামের বখাটে খোকন (২০), রাজাবাড়ি গ্রামের এমারত মিয়ার ছেলে রিপন (১৯) ও ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মনিরসহ (১৯) কয়েকজন পাষণ্ড মিলে তার তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া কন্যাকে বাড়িতে একা পেয়ে গণ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে সংগাহীন অবস্থায় শিশু কন্যাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেও তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে।
এ দিকে বিকেলে কন্যার মা মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ব্যাপারে রাজাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলী আশরাফ ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
খুটাখালীতে চিংড়িঘেরে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ
চকরিয়া প্রতিনিধি, ..
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে বাড়ী থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী চিংড়িঘেরে নিয়ে প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে দুই লম্পট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষিতা উত্তর ফুলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ধর্ষিতার পিতা দিনমজুর গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেন, বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে হেতালিয়াপাহাড় এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে সরওয়ার ও উত্তর ফুলছড়ি রুইঘোনা এলাকার শাহাব মিয়ার ছেলে ধলা মিয়া তার স্কুল পড়ুয়া শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী চিংড়িঘেরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ের শোর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী দৌঁড়ে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান জানান, ঘটনাটি তাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
একই বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ঘটনাটি এখনো তাকে জানানো হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এদিকে স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের খবরে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে। ধর্ষক, লম্পট দুই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে সর্বস্থরের মানুষ। অন্যথায় সাধারণ ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলা হবে বলে জানান ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর শুভাকাঙ্খীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন