চলে গেলেন কবি রফিক আজাদ
ভাত চাই-এই চাওয়া সরাসরি- ঠাণ্ডা বা গরম,
সরূ বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হ’লে
কোনো ক্ষতি নেই মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য সব দাবি!
শেষমেষ সব দাবি ছেড়ে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদ। ৭৪ বছর বয়সী কবি গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাসায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন। তিনি হৃদযন্ত্র, ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুসসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে চিকিৎসকরা এই কবির মৃত্যু ঘোষণা করেন বলে তার বড় ভাইয়ের মেয়ে ড. নিরু শামসুন্নাহার জানিয়েছেন।
১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার গুণী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম রফিক আজাদের। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করে কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতায়।
রফিক আজাদ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এর নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর কাজ করেছেন বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন, উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি ও জাতীয় গ্রেন্থকেন্দ্রে।
রফিক আজাদের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে অবম্ভবের পায়ে (১৯৭৩), সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে (১৯৭৪), নির্বাচিত কবিতা (১৯৭৫), চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া (১৯৭৭), নির্বাচিত কবিতা, কবিতা সমগ্র ইত্যাদি। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তাঁকে একুশে পদক দেওয়া হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন