চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি
চাকুরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৩ জানুয়ারি সারাদেশের উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে তারা।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রপরিষদের ব্যানারে এ কর্মসচি পালন করা হবে। এরপর ২৯ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় শাহবাগ চত্বরে ‘অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করা হবে। ওই দিন সারাদেশের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জমায়েত হবে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি আদায়ে আমরা দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বয়স বাড়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ৬ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তির বিধান নির্দিষ্ট হওয়ার ফলে ১৬ বছর ৩ মাস বয়সে এসএসসি পাস করে শিক্ষার্থীরা। এরফলে এইচএসি পাস করতে সময় লাগে আরও দুই বছর। এরপর ১৯ বছর বয়সে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকে ভর্তি হয়। চার বছর অনার্স কোর্স শেষ করতে সময় লাগে পাঁচ বছর। সে হিসেবে ২৪ বছর লেগে যায় অনার্স শেষ করতে। পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ বছরের আগে কোনোভাবেই অনার্স শেষ হয় না। তাহলে কেন ক্যাডার সার্ভিসে চাকরিতে প্রবেশে শুরুর বয়স ২১। এটি অনেক আগেই গ্রহণযোগ্যতা হরিয়েছে। আর নন-ক্যাডার সার্ভিসে চাওয়া হয় ১৮ থেকে ৩০। বর্তমানে ১৮ বছর গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। কারণ দুইবছর মেয়াদী ডিগ্রি কোর্স আর এখন নেই। বর্তমানে আমাদের ১২ বছর (১৮-৩০) চাকরি আবেদনের জন্য দেয়া হয়। যে হেতু ২৩ এর পূর্বে অনার্স শেষ হচ্ছে না, ২৩ বছরেই আবেদন শুরু হয়। ২৩ এর সাথে আমাদের পাওনা ১২ বছর যোগ করলেই তো ৩৫ হয়ে যায়। এ জন্য তো আন্দোলন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু তারপরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব। বাধ্য হয়েই আন্দোলনে আমরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় যুক্ত হবেন ৭০০ শিক্ষার্থী, পাবেন সম্মানী
রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ও শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের সঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন
৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
দেশের ৮ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।বিস্তারিত পড়ুন
নুর: রাজনৈতিক দলের গোলামি করলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি করতে পারবেন না
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “যারা জনগণেরবিস্তারিত পড়ুন