‘চাকিং’ রুখতে বিসিবির দুই কৌশল
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন বড় সমস্যার নাম ‘নিষিদ্ধ বোলিং অ্যাকশন’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সমস্যাটা যেমন আছে, তেমনি ঘরোয়া ক্রিকেটেও এর ইতিহাস বেশ পুরনো।
সেসব নিয়ে গত বছর দশেক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব একটা মাথা না ঘামালেও এখন তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় এই নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাটি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সমস্যা দূর করতে দু’টি কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছে বিসিবি। প্রথমত, ‘হারিয়ে যাওয়া’ বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয়ত, বোলারদের অ্যাকশন পরীক্ষা বা শোধরানোর জন্য স্থাপন করা হবে একটা বায়োমেকানিক্যাল ল্যাব।
প্রায় এক দশক ধরে যে বিসিবিতে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটিই নেই! আম্পায়াররা কোনো বোলারের অ্যাকশনকে সন্দেহজনক বলে রিপোর্ট করলেও রিভিউ কমিটি বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না থাকায় বোলাররা সন্দেহজনক অ্যাকশন নিয়েই বোলিং করে গেছেন দিনের পর দিন।
এই কমিটি পুনর্গঠন করা হলে আর এই সমস্যা থাকবে না। সন্দেহভাজন বোলারের অ্যাকশনে আসলেই ত্রুটি থাকতে পারে কি না, প্রথম ধাপে সেটি পরীক্ষা করে দেখবেন স্বাধীন বোলিং রিভিউ কমিটির সদস্যরা। আম্পায়ারদের সন্দেহ সঠিক মনে হলে তাঁরা তা জানাবেন পর্যালোচনা কমিটিকে। এই কমিটি সমস্যা চিহ্নিত করে পুনর্বাসন কমিটিকে নির্দেশনা দেবে এবং পুনর্বাসন কমিটি অ্যাকশন শোধরানোর কাজ করবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে বোলিং অ্যাকশন পর্যালোচনা প্রক্রিয়া। তবে বিসিবি চায় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যেন নিজেদের কাজটা স্বাধীনভাবে করতে পারেন।
তিনি দৈনিক প্রথম আলোকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা একটি খসড়া কাঠামো দাঁড় করিয়েছি। এর প্রতিটি ধাপে কোচ, সাবেক খেলোয়াড়, আম্পায়ার এবং প্রয়োজনে বিসিবি পরিচালনা পরিষদেরও প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে। আমরা চাই যারা কাজটা করবেন, তাঁরা যেন পূর্ণ স্বাধীনতা এবং কর্তৃত্ব নিয়ে তা করতে পারেন।’
আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কোনো পরীক্ষাগারও নেই বাংলাদেশে। রিভিউ কমিটির সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য যা বাধ্যতামূলক ভাবে দরকার।
এই দরকার মেটাতে একটা ল্যাব নির্মান করারও পরিকল্পনা করছে বিসিবি। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘প্রয়োজনে ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে হলেও মৌলিক প্রয়োজনটুকু মেটাতে পারে, এমন ল্যাবের ব্যবস্থা করা হবে।’
তার থেকে একটু বাড়িয়ে বললেন বোর্ডের পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। দৈনিক কালের কণ্ঠকে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একটি ল্যাব করার আলোচনা চলছে বোর্ডে। চেন্নাইয়ের মতো অত বড় হয়তো নয়। খালি চোখে দেখে তো কারো ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই এবার আমরা নিজেরাই ল্যাব করতে চাইছি। যাতে সহজেই শনাক্ত করা যায়।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন