চার ঘণ্টাও ঘুমাতে পারেননি কনস্টেবল নাসির
তখন সন্ধ্যা ৬টা। কল্যাণপুরের আলোচিত সেই জাহাজবাড়ির সামনে ব্যারিকেডে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন মিরপুর পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশের কনস্টেবল নাসির (ছদ্মনাম)। রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার তরুণ এই কনস্টেবল সোমবার রাত ১২টায় ডিউটি শেষ করে ক্লান্ত দেহ নিয়ে পুলিশ লাইনে ফিরে আসেন।
রাতেই গোসল করে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। ভোর পৌনে ৪টায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেসেজ পেয়ে দৌড়ে এসে রিপোর্ট করে গাড়িতে উঠে ভোর ৫টায় কল্যাণপুরের ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সেই থেকে ১৩ ঘণ্টা টানা ডিউটি করে চলেছেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ভীষণ ক্লান্ত অবসান্ন নাসির দুঃখ করে বলেন, পুলিশে ছোট পোস্টের (কনস্টেবল) চাকরি জীবন কোনো জীবন না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে যখন-তখন ডিউটির জন্য দৌড়াতে হয়।
এ সময় এ প্রতিবেদক তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকদেরও এমন টানা ডিউটি করতে হয়। এ কথার জবাবে নাসির বলেন, আপনারা গুলশান বা কল্যাণপুরের মতো বড় ঘটনা ঘটলে হয়তো টানা ডিউটি করেন কিন্তু আমাকে মাসের ৩০ দিনই এমন ডিউটি করতে হয়।
শুধু নাসিরই নন, তার মতো আরো শতাধিক পুলিশ সদস্য মিরপুর পুলিশ লাইন থেকে কাকডাকা ভোরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মিরপুর ছাড়াও রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকেও রিজার্ভ পুলিশ আসে।
সৌরভ নামের রাজারবাগের আরেক পুলিশ কনস্টেবল এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সোমবার রাত ১২টায় ডিউটি শেষ করে ফিরে ঘুমাতে না ঘুমাতেই রাত ৩টায় ডাক পড়ে। ভোর ৫টায় ছুটে আসেন। তখন থেকে ডিউটিতে রয়েছেন। আজ কখন ফিরে যেতে পারবেন তাও জানেন না।
সৌরভ জানান, কাগজে কলমে ৮ ঘণ্টা ডিউটির কথা বলা হলেও বাস্তবে তাদের প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন