চার হাসপাতালে অভিযানে ৬ লাখ টাকা জরিমানা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মানসিক ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রসহ চার হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও হাসপাতাল সিলগালা করেছেন আদালত।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-২ এর উপপরিচালক মো. দিদারুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম (সাদী) উপস্থিত ছিলেন।
হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ২/৪ হুমায়ন রোডের বি-ব্লকে অবস্থিত নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পরিলক্ষিত হয় যে, হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা বলতে কিছুই নেই। আছে শুধু অভিযোগ, রোগীর ওপর শারীরিক নির্যাতন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেই। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, নেই পর্যাপ্ত নার্স। ড্রাগস ও ওষুধের বক্সে ওষুধের নাম নেই, মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগীদের আলাদা আলাদা থাকার ব্যবস্থা নেই, সেবার মূল্য তালিকা নেই, মানসিক ডাক্তার নেই। ডিউটি ডাক্তারই শুধু রোগের বিবরণ লেখেন।
রয়েছে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা ও রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো অর্থ আদায় করার অভিযোগ। ছোট ছোট কয়েকটি ঘর। তার মধ্যেই রান্না ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স। তারপরও ৫২ জন মানসিক ও মাদকাসক্ত রোগী ভর্তি করে বছরের পর বছর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের মতো করে রেখে সেবার নামে ছারপোকার কামড়ে হাত পায়ে চর্ম রোগের সৃষ্টি করেছে।
এমন নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানসিক ও মাদকাসক্তি নিরাময় হাসপাতালের নামে রমরমা ব্যবসা করে নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা করে আসা হচ্ছে।
এ ছাড়াও একই এলাকায় বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজ হাসপাতাল ও ভাইটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মালিহা হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট ও সনোলজিস্ট না থাকা, ওটির সেট আপ ঠিক না থাকা, ল্যাব টেশনিশিয়ান না থাকা, ডাক্তার ও নার্স না থাকা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ল্যাব পরিচালনা করা, বিভিন্ন রোগের টেস্টের জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার, হালনাগাদ লাইসেন্স ব্যতীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করার অপরাধে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
হেলাল উদ্দিন বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের এরূপ দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতালের মালিক মো. আনোয়ারকে (৩৮) ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান ও একই ধারায় ম্যানেজার সবুজ মণ্ডলকে (২৪) ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান, বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজ হাসপাতালের ম্যানেজার মোছা. শাকিলা হককে (২৫) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান ও ভাইটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. কামরুলকে (৩৮) ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান এবং মালিহা হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেনকে (৪৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাত দিনের মধ্যে হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন