চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চান মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্লাহ

কিডনি, স্নায়ু, বক্ষ আর হৃদরোগে কাতর মুক্তিযোদ্ধা মো: ছানাউল্লাহ চৌধুরী। রোগের কারণে প্রতিদিনই ক্ষয়ে যাচ্ছে তাঁর শরীর।
জীবন পড়ছে হুমকির মুখে। অর্থকষ্টে রোগের বর্তমান অবস্থা নিরূপনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না তাঁর। এরই মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে মেরুদণ্ড অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন এক নম্বর সেক্টরের এই যোদ্ধা।
ছানাউল্লাহ চৌধুরী জানান, গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পুলিশি নির্যাতনে পড়ে টানা ২০ মাস কারাভোগ করেন। এরপর থেকে বিগত ১০ বছরের মধ্যে তিনি উল্লিখিত রোগে আক্রান্ত হন। অর্থাভাবে এ যাবতকালে রোগ নির্মূলের ব্যবস্থা নিতে না পারায় রোগের শাখা-প্রশাখা বাড়ছে।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা শেষ করে গত ৭ ডিসেম্বর তিনি চিকিৎসা নিতে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে চার রোগের জন্য চারজন চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। তাদের মধ্যে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ জরুরিভাবে মেরুদণ্ড অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন।
ওই মুক্তিযোদ্ধা জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের মুক্তিযোদ্ধা সেলে গেলে জানানো হয়, এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি। তার বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। ছাড়ের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার যে ফি এসেছে তা আমার মতো গরীব মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তিনি আরো জানান, ‘চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি। ভারতের বগাপাড় ক্যাম্পে প্রথম দফায় ট্রেনিং করেছি। যুদ্ধের পর রক্ষী বাহিনীতে বাহিনীতে ছিলাম। সেনাবাহিনীর ট্যাংক রেজিমেন্টে চাকরিরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে চাকরি ছেড়ে দিই।
ছানাউল্লাহ চৌধুরী জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাওয়া চরের জমি রক্ষা করতে গিয়ে গত জোট সরকারের আমলে বিএনপি, জামাতের রোষানলে পড়েন। তখন সন্দ্বীপ থানা পুলিশ তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালায়। কারাগারে পুলিশের নির্যাতনে সৃষ্ট শরীরের ক্ষতের কোনো চিকিৎসা পাননি। ২০ মাস কারাভোগের পর তার শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
তিনি আরো জানান, কারামুক্তির পর তাকে নিজ এলাকা সন্দ্বীপও ছাড়তে হয়। কয়েক বছর ধরে স্ত্রী, কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানার চরলক্ষা এলাকার ভাড়া বাসায়।
তার চিকিৎসায় হৃদয়বান যে কেউ সহায়তা করতে পারেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-৪৯৪৭-৯, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, কাজীর দেউরি শাখা, চট্টগ্রাম। মোবাইল নম্বর-০১৮৩৪৭২৩৭৭৫।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন