চিকেন পক্স! শিশুদের সাবধানে রাখুন, বড়দের বিপদ বেশি
চিকেন পক্স থেকে এনকেফেলাইটিস, ফুসফুসে নিউমোনিয়া ছাড়াও শ্বাসনালিতে সংক্রমণের ভয় থাকে। স্কুল, পাবলিক প্লেস-এ সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করার আশঙ্কা বহুগুণ বেশি।
হাল্কা ঠান্ডা, হাল্কা গরম। আবহাওয়া বদলের এই সন্ধিক্ষণে জীবাণুদের পোয়াবারো। বছরের এই সময়টা জ্বর, সর্দি-কাশির সঙ্গে চিকেন পক্সের সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষত, শিশুদের চিকেন পক্সের সংক্রমণ নিয়ে মা-বাবারা যথেষ্টই আতঙ্কে থাকেন।
নিজের সন্তানকে কীভাবে চিকেন পক্সের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবেন? চিকিৎসকরা বলছেন, চিকেন পক্সে আক্রান্তের থেকেই মূলত চিকেন পক্সের সংক্রমণ ছড়ায়। সাধারণত, শ্বাসনালি দিয়ে মানুষের শরীরে চিকেন পক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বাচ্চা হোক বা বড়, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে চিকেন-পক্সে আক্রান্তকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
বিশেষত, পক্স শুকিয়ে আসার সময়ে রোগীর শুকিয়ে যাওয়া চামড়া গুঁড়ো হয়ে বাতাসে মিশে যায় যা অন্য কারও শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণের আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে, কোনও শিশু বা বাচ্চা চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার ২-৩ সপ্তাহ পরে তাঁকে স্কুলে পাঠানো উচিত যাতে অন্য কচিকাঁচাদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। আর নিজের সন্তানকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বছরের এই সময়টা শিশুকে অবশ্যই মাস্ক পড়ান। স্বস্তির কথা একটাই, চিকেন পক্সে শিশুরা আক্রান্ত হলেও তেমন ভয়ের কিছু নেই। তবে সংক্রমণ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিশিষ্ট চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম জানাচ্ছেন, শিশু-সহ সব বয়সের মানুষের জন্যেই চিকেন পক্সের প্রতিষেধক পাওয়া যায়। এমনিতে চিকেন পক্স জীবনে একবারই হয়। ফলে, যাঁরা চিকেন পক্সে আক্রান্ত হননি তাঁরা এই প্রতিষেধক নিতে পারেন। চার থেকে আট সপ্তাহের ব্যবধানে দু’বার এই প্রতিষেধক নিতে হয়।
শিশুরা চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে সেরকম আশঙ্কা না থাকলেও উপেক্ষা করলে বড়দের ক্ষেত্রে চিকেন পক্স মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শিশুদের তুলনায় বড়দের চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা বেশি। চিকেন পক্স থেকে এনকেফেলাইটিস, ফুসফুসে নিউমোনিয়া ছাড়াও শ্বাসনালিতে সংক্রমণের ভয় থাকে। এমনকী, সংক্রমণের জেরে চোখ নষ্ট হতে পারে।
ফলে চিকেন-পক্সে আক্রান্ত হলেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু করুন। সেক্ষেত্রে দ্রুত সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ না-থাকলেও চিকেন পক্স আক্রান্তদের বেশি করে জল খাওযার পরামর্শ দিচ্ছেন
চিকিৎসকেরা। ছোটদের মতো বড়দেরও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। বিশেষত, পাবলিক প্লেস-এ সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করার আশঙ্কা বহুগুণ বেশি।
সুস্থ হওয়ার পরে চিকেন পক্সের দাগ নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় থাকেন। চিকিৎসকেরা অবশ্য আশ্বস্ত করে বলছেন, সময়মতো ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এবং খোঁটাখুঁটি না করলে নিজে থেকেই দাগ উঠে যায়। তবে, পক্স শুকিয়ে যাওয়ার সময় ক্যালামাইন জাতীয় লোশন লাগানো যেতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন