চিনা প্রেসিডেন্টের রাজধানী সফরে কী পেল বাংলাদেশ ?
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফর নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না বাংলাদেশের। এ সফরকে বিভিন্ন দিক থেকে ঐতিহাসিক বলা হয়েছে। কারণ এই সফরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চিনের ভূমিকা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা অনেকাংশেই বাস্তবে রূপ লাভ করতে যাচ্ছে বলে মত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।
তবে সম্ভাবনা থাকলেও এ সফরের ফলে বাংলাদেশে কাক্সিক্ষত হারে চিনের বিনিয়োগ আসবে কিনা এবং দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে কিনা, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো।
বিবিসি জানায়, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে যেরকম উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চিনা প্রেসিডেন্ট ঢাকায় আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দুদেশের সম্পর্ক।
চিনা প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ-চিন সম্পর্ক এক নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্ধু হিসেবে পাশে থাকতে প্রস্তুত চিন। তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্কের পর্যায় থেকে দুদেশের সম্পর্ক এখন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, দুদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরনের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, চিনা প্রেসিডেন্ট যেরকম বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে এসেছেন এই সফরের সময় সেটা একটা রেকর্ড। দুদেশের কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী, চিন বাংলাদেশকে ২৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিভিন্ন খাতে, যার বেশিরভাগই অবকাঠামো খাতে।
তবে বিবিসির প্রশ্ন, চিন আসলে বাংলাদেশের কোন কোন খাতে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে? এর মধ্যে কয়টি প্রকল্প আসলে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে?
গতকাল বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শেখ হাসিনা এবং শি জিনপিং আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, যার একেকটির মতা হবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল তৈরির প্রকল্পেও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে চিন। এ ছাড়া একটি সার কারখানা, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে চিনা অর্থ-সাহায্যে।
জানা গেছে, চিন বাংলাদেশের উপকূলে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও আগ্রহী ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের এ নিয়ে আপত্তি আছে। ফলে প্রকল্পটি নিয়ে কথাবার্তা আর এগোয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।
চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঢাকায় এসেছে দেশটির ব্যবসায়ীদের একটি বড় প্রতিনিধি দলও। বাংলাদেশে বিনিয়োগে তারা কতটা উৎসাহী, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিবিসির বিশ্লেষণে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাতলুব আহমাদ বলেন, চিনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ১৩টি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিগুলোতে প্রায় এক হাজার ৩৬০ কোটি ডলার ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ থেকে শুরু করে অবকাঠামো, রেলওয়েসহ নানা খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাতলুব আহমাদ আরও জানান, এর প্রতিদানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চিনের কাছে কোটা ফ্রি এবং ডিউটি ফ্রি পণ্য রপ্তানির সুযোগ চেয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন