চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু
রূপচর্চার ক্ষেত্রে ছেলেরাও এখন বেশ সচেতন। নিজের ত্বক, চুলের যত্নে ছেলেদের আগ্রহ বেড়ে চলেছে। চুলের যত্নের প্রথম শর্ত হচ্ছে চুল পরিষ্কার রাখা। চুল পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পুর ব্যবহার অত্যাবশ্যক। কিন্তু সব ধরনের চুলে সব শ্যাম্পু মানায় না। তাই শ্যাম্পু করার আগে জেনে নেয়া জরুরি, কোন চুলে কেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
নির্জীব চুলের ক্ষেত্রে মাসে দুই বার হেনা প্যাক ব্যবহার করতে হবে। চুলের বৃদ্ধির জন্য নারিকেল তেলের পরিবর্তে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা যাবে। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ সমৃদ্ধ শ্যাম্পুই ব্যবহার করা শ্রেয়। তবে শ্যাম্পু করার পর এক লিটার পানিতে একটি গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
অতিরিক্ত শুষ্ক ও ফ্রিজি চুল এ ধরনের চুলের ক্ষেত্রে নিয়মিত হট অয়েল ম্যাসেজ করতে হবে। সঠিক শ্যাম্পু ও হেয়ার কন্ডিশনিক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও এক লিটার পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে শ্যাম্পুর পরে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে হেয়ার স্পা করতে পারেন।
সপ্তাহে দুই দিন অলিভ অয়েল গরম করে তুলো দিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। হালকা করে ঘষুন। সারা রাত রেখে পরের দিন ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। চুল ধোয়ার আধঘণ্টা আগে স্ক্যাল্পে লেবুর রস লাগান। এতে খুশকি কমবে। মাইল্ড হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু লাগান। খানিকটা লম্বা চুলের জন্য এক চা চামচ এবং ছোট চুলের জন্য হাফ চা চামচ শ্যাম্পু যথেষ্ট।
রং করা চুল কড়া রোদে রং করা চুল সহজেই খারাপ হয়ে যায়। রং করা চুলের ক্ষেত্রে আলট্রা-ভায়োলেট ফিল্টার-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। হালকা হাতে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিন। জোরে ঘষবেন না। চুলের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যাবে। চুলের রং হালকা হয়ে যাবে। মাসে অন্তত একবার কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন