চেনা রোগের ওষুধ নেই
মোহাম্মদ আশরাফুল একবার শচীন টেন্ডুলকারের কাছে টিপস চেয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন কীভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করা যায়। শচীন বলেছিলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসকে প্রথম ইনিংস মনে করবে। তাতেই হবে।’ আশরাফুল রোগটা সারানোর সময় পাননি। তার আগেই ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত। সেই আশরাফুল এখন নেই। কিন্তু রোগটা রয়ে গেছে। যার সমাধান আজও পদ্মাপারে কেউ জানে না।
বাংলাদেশ এদিন ৬৫ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে টেনেটুনে ১৭৩ করতে পারে। তার মানে জয়ের জন্য কিউইদের করতে হবে ১০৯।
আগেরদিন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল। চতুর্থ দিন কিইউ পেসাররা আগের টেস্টের মতো ভয়ঙ্কর আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেননি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বরং উইকেট বিলিয়ে প্রতিপক্ষের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন।
ওপেনার তামিম জানতেন শর্ট বল আসবে। আর এটাও জানতেন ডিপ স্কয়ার লেগে কেউ না কেউ থাকবেন। সব জেনেবুঝে সাউদির ষষ্ট ওভারে শর্ট বল দিতেই পুল করতে যান। স্যান্টনার একটু মুভ করে বল লুফে নিলেন।
তামিমের (৮) পর রিয়াদের সঙ্গে সৌম্য বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দেন। দারুণ ব্যাট করছিলেন দুজনে। বোল্টকে চার হাঁকিয়ে ত্রিশের ঘরে পা রাখেন সৌম্য। দুই ওভার বাদে মিডিয়াম পেসার গ্রান্ডহোমকে বলে টানেন উইলিয়ামসন। দুই স্লিপসহ গালিতে সৌম্যর সামনেই ফিল্ডিং সাজান। অনুমিতভাবেই অফসাইডে ঝুলিয়ে বল দেন। দেখেশুনে ওই গালি দিয়েই স্কয়ারকাট করতে যান। প্রথম ইনিংসে ৮৬ করলেও এবার ৩৫ রানে ধরা পড়েন রাভালের হাতে।
দুই ওভার বাদে সাকিবও একই কাজ করেন। তিনি স্কয়ারকাট ভালো খেলেন, এটা সবাই জানে। সাউদি তাই বলে এসে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফিল্ডার রেখে অফ সাইডে ঝুলিয়ে ডেলিভারি দেন। সাকিব ফাঁদে পা দেন চোখের পলকে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ওৎ পেতে থাকা গ্রান্ডহোম ক্যাচ লোফেন। আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ানকে এদিন ফিরতে হয় ৮ রানে।
এরপর রিয়াদের (৩৮) পালা। দল যখন চাপে ঠিক তখন শরীরের অনেক বাইরের বলে জোর করে ড্রাইভ করতে যান। বলে সুইং ছিল। কানা নিয়ে স্ট্যাম্প খেয়ে নেয়।
সাব্বির ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। দলীয় শত রানের মাথায় ওয়াগনারের শর্ট বলে তালগোল পাকিয়ে ব্যাট দেন। কী করতে চেয়েছিলেন তিনিই ভালো জানেন। না ছেড়েছেন, না ব্যাটে এনেছেন; কিছুই বোঝা যায়নি। তবে বল যে গ্রিপের কাছাকাছি চুমু দিয়ে উইকেটরক্ষক ওয়াটলিংয়ের হাতে পৌঁছে যায়, সেটা বুঝতে কারো সমস্যা হয়নি।
নুরুল হাসান (০) দ্বিতীয় বলের মাথায় সাব্বিরকে কপি করেন। ওয়াগনারের এই শর্ট বলটি ছিল লেগস্ট্যাম্পের উপর। নুরুল ছেড়ে দিলে বেরিয়ে যায়। সাব্বিরের মতো কী মনে করে ব্যাট দিতে যেয়েও ফিরিয়ে আনেন। বল একটু ছুঁয়ে চলে যায় ওয়াটলিংয়ের আস্তানায়।
নাজমুল হোসেন শান্ত (১২) ৬০টি বল খেলেন। এত সময় ক্রিজে থেকেও বোল্টের দারুণ একটি ডেলিভারিতে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান। ইয়র্কারে যেভাবে অলস ভঙ্গিতে ব্যাট চালান, তাতে মনোযোগ হারানোর লক্ষণই স্পষ্ট।
অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজ (৪) এদিনও যারপরনাই ব্যর্থ। আরো নির্দিষ্ট করে বললে বোল্টের বাউন্সারে পরাস্ত। শর্টলেগে ফিল্ডার রেখেই বোল্ট বাউন্সার মারেন। মিরাজ লাফিয়ে উঠে নিজেকে সামলাতে না পেরে ব্যাট দিতে বাধ্য হন। হাত চারেক পাশে হাঁটুগেড়ে থাকা ল্যাথাম সহজে তা তালুবন্দি করেন।
এরপর রুবেল সাতটি বল খেলতে পারেন। তাতে শুধু সময়ই যায়। এগিয়ে আসে নির্ঘাত পরাজয়!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন