রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

চোখে ছানি পড়ছে কীভাবে বুঝবেন?

চোখের ছানি একটি প্রচলিত সমস্যা। তবে বর্তমানে এর অনেক আধুনিক চিকিৎসা বের হয়েছে। যা রোগীকে দ্রুত আরোগ্য করতে সাহায্য করে। ২১ সেপ্টেম্বর এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২১৫৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ, বসুন্ধরা আই হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরামর্শক অধ্যাপক ডা. এস এম মুনিরুল হক।

প্রশ্ন : চোখের ছানি বলতে বুঝি বয়স্কদের সমস্যা। আসলে চোখের ছানি রোগটি কী? এবং এটা কাদের বেশি হয়? বয়স্ক ছাড়াও হতে পারে কি না?

উত্তর : চোখের ছানি সম্বন্ধে বলতে গেলে আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে কীভাবে আমরা দেখি। আমাদের চোখটি একটি বলের মতো, গোল। এই বলের ভেতরে অনেক আবরণ আছে। এর সামনে রয়েছে কর্নিয়া এবং লেন্স। এই দুটো কর্নিয়া এবং লেন্স মিলে বাইরের যা আলোক রশ্মি রয়েছে যেগুলো আমাদের চোখে প্রতিফলিত করে, সেটাতে যে একটা প্রতিবিম্ব পড়ে চোখের ভেতরে, চোখের পেছনের রেটিনাতে, ওই প্রতিবিম্বটা চোখের পেছনের রেটিনা থেকে মস্তিস্কে চলে যায়, তখন আমরা দেখতে পাই। দেখার সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি একটি ক্যামেরার মতো কাজ করে। বাইরে থেকে আলো চোখের ভেতরে পড়ে, এরপর আস্তে আস্তে করে একটি প্রতিবিম্ব তৈরি হয় রেটিনাতে, সেটা মস্তিস্কে চলে যায়। ফলে আমরা দেখতে পাই। তবে এই কর্নিয়া এবং লেন্স যে রয়েছে এ দুটো স্বচ্ছ হতে হবে এবং মাধ্যমটা পুরোটা স্বচ্ছ হতে হবে। যদি কোথাও কোনো অস্বচ্ছতা থাকে, তাহলে আর প্রতিবিম্বটা পড়বে না। আমাদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বা অন্য যেকোনো কারণে যদি চোখের লেন্স অস্বচ্ছ হয়ে যায়, সেখানে অন্য কোনো আবরণ পড়ে যায়, লেন্সটাই অস্বচ্ছ হয়ে যায়, এই লেন্স অস্বচ্ছ হয়ে গেলে আমরা তাকে বলি ছানি।

প্রশ্ন : কারা বেশি ছানিতে আক্রান্ত হন?

উত্তর : আমাদের দেশে ছানি একটু বয়স্কদের হয়। আমাদের খুব তাড়াতাড়ি ছানি পড়া শুরু করে। ৪০ বছর থেকে এটা শুরু হয়ে ঊর্ধ্বে প্রতিটি বয়সের মানুষের হতে পারে। এ ছাড়া জন্মগত ভাবে শিশু ছানি নিয়ে জন্মাতে পারে। তবে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বয়স্করা।

প্রশ্ন : একজন মানুষ যদি ছানিতে আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে তার কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? কী ধরনের সমস্যা দেখলে বুঝবে চোখে ছানি পড়ছে?

উত্তর : আসলে চোখে ছানি পড়ার কোনো উপসর্গ নেই। কারণ এতে চোখে ব্যথা হয় না। চোখে পানি পড়বে না বা চোখে অন্য কোনো উপসর্গ হবে না। শুধু দেখতে অসুবিধা হবে। ক্রমাগত দেখতে অসুবিধা হবে। লেন্স অস্বচ্ছ হওয়ার ফলে ছানি হয়। এখন এই লেন্সটা যখন আস্তে আস্তে করে অস্বচ্ছ হতে থাকে তখন ধীরে ধীরে অস্বচ্ছতা বাড়তে থাকে। একটা সময় আসে যখন পুরোপুরি অস্বচ্ছ হয়ে যায়। তখন আর সে দেখতে পাবে না, দৃষ্টি অস্বচ্ছ হয়ে যাবে। কেবল কম দেখতে পাওয়া, আলোতে গেলে দৃষ্টি শক্তি কমে আসা- এই ধরনের উপসর্গ ছাড়া চোখে অন্য কোনো ধরনের উপসর্গ হবে না।

প্রশ্ন : এর চিকিৎসার জন্য  কী করে  থাকেন?

উত্তর : ছানির চিকিৎসা আজকাল অনেক আধুনিক হয়েছে। আমরা স্বাভাবিকভাবে যা করি সেটা হলো অস্ত্রোপচার করে ছানি বের করে দেই। অস্ত্রোপচারের কথা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগে চোখ কেটে ছানি বের করতে হতো। তবে আজকাল চোখ কাটতে হয় না। আমরা একটা যন্ত্র দিয়ে চোখের ভেতরে ছিদ্র করি, এরপর যন্ত্র দিয়ে ছানি গলিয়ে ফেলি, এরপর স্ট্র দিয়ে যেমন পেপসি খাওয়া হয়, তেমনি একটা মেশিনের মাধ্যমে একে চুষে বের করে নিয়ে আসি। নিয়ে এসে ওই জায়গায় একটি কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেই।

প্রশ্ন : চোখের ভেতর সামান্য একটু ময়লা পড়লেও তো আমরা দেখতে পাই না, অস্বস্তিবোধ করি। একটি কৃত্রিম লেন্স সেখানে ঢুকিয়ে দেবেন। এতে কোনো সমস্যা হয় না?

উত্তর : না, এই লেন্সটা যে জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, অনেক গবেষণা করে এই জিনিসগুলো বের করা হয়েছে। এই জিনিসগুলোকে দেহ নিজের জিনিস হিসেবে নিয়ে নেয়। এটা চোখের বাইরে থাকে না। একদম ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাই চোখে কোনো অস্বস্তিবোধ হবে না। অস্বচ্ছ লেন্স পরিবর্তন হয়ে স্বচ্ছ লেন্স হয়ে গেল।

প্রশ্নর : ছানির অস্ত্রোপচারে আপনারা কী করেন?

উত্তর : আসলে আগে অনেক কঠিন ছিল। হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো। তবে এখন আধুনিক পদ্ধতিতে যে অস্ত্রোপচার করি, একটা যন্ত্র দিয়ে সেটা করি। যন্ত্রটির নাম হচ্ছে ফেকো মেশিন।  এর ব্যবহারে আমাদের কোনো ইনজেকশন দিতে হয় না। শুধু চোখের উপরে দুটো এনেসথেটিক ড্রপ দেই। এতে চোখ যতটুকু অজ্ঞান হয় তাতেই যন্ত্রটি দিয়ে অস্ত্রোপচার করতে পারি। কোনো ব্যথা পাবে না। কোনো কষ্ট হবে না। আজকাল হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয় না। ঘণ্টা এক-দুই এর মধ্যে রোগী আবার বাসায় চলে যেতে পারে।

আগে আমরা বলতাম উপুড় হবেন না। পানি দেবেন না। এগুলো অনেক কিছু বলতাম। আজকাল আর সেগুলো নেই। এখন ২৪ ঘণ্টা বিশ্রাম নিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবে।

প্রশ্ন : ফ্যাকো করার পর রোগীর কি আলাদা কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন আছে?

উত্তর : না। আগের মতোই। ফেকো মেশিন দিয়ে একটা ছিদ্র করি যেটা নিরাময় হতে সাতদিন সময় লাগে। সাতদিনের মধ্যে চোখটি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। চোখে পানি দেওয়া, উপুড়  হওয়া, নামাজ পড়া- এগুলোতে কোনো অসুবিধা নেই।

প্রশ্ন : মাঝে মাঝে আমরা শুনতে পাই ছানির অস্ত্রোপচার হয়ে চোখ সংকমণ হয়ে গেছে। আসলে এ রকম আতঙ্কের কারণ আছে কি না? এটা দূর করার উপায় কী?

উত্তর : দেখুন, যেকোনো অস্ত্রোপচার করার পর একটা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।  আধুনিক অস্ত্রোপচারের যে চিকিৎসা আছে এখানে অনেক আধুনিক, জীবাণুমুক্ত করণ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এর ফলে চোখে জীবাণু হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে এটি হওয়ার আশঙ্কা খুব কম। চিকিৎসক যত সতর্ক হবেন এর সম্ভবনা তত কমবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?