চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করলে ছয় বছর ক্রিকেটের বাইরে ভারত
এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা মানেই আগামী বিশ্বকাপসহ আইসিসি আয়োজিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না তারা। আইসিসির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে যদি ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করে, তাহলে আখেরে চরম মূল্য দিতে হবে তাদেরকেই। এ কারণে, এখন খুব সতর্কতার সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা না করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে ভারত।
আইসিসির সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে এবং বাইরে। যে আলোচনায় যোগ দেন বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর, এন শ্রীনিবাসন থেকে শুরু করে অনেকেই।
আইসিসির বিরুদ্ধে বিদ্রোহই ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটা অংশ। আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানোর তোড়জোড় নিতে অনুরাগ ঠাকুর, এন শ্রীনিবাসনের মতো ক্ষমতাচ্যুত ক্রিকেটকর্তারা কাল টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু বিসিসিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক কমিটির (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই তাঁদের নিবৃত্ত করেন। শুধু তা-ই নয়, রাই এই সতর্কবার্তাও জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বয়কট করলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির কোনো ইভেন্টে হয়তো অংশ নিতে পারবে না ভারত।
এই ছয় বছরে দুটি বিশ্বকাপ (২০১৯, ২০২৩), দুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০১৭, ২০২১), দুটি নারী বিশ্বকাপ (২০১৭, ২০২১), তিনটি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০১৮, ২০২০, ২০২২), ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তিনটি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (২০২১) আছে।
১৪টি বড় ইভেন্ট। তাই হুট করে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় বিসিসিআইয়ের অন্তর্বর্তী কমিটি। আইসিসির সঙ্গে সব সদস্য দেশেরই একটা চুক্তি আছে। এটিকে বলা হয় মেম্বার্স পার্টিসিপেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (এমপিএ)। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বয়কটের অর্থ হচ্ছে এই ‘এমপিএ’ ভঙ্গ করা। তাহলে পেতে হতে পারে সেই শাস্তি।
কাল শ্রীনি-অনুরাগরা মিলে বিসিসিআইয়ের ১২ সদস্য এই টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হন। সকাল নয়টার দিকে বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরী বিনোদ রাইকে ফোন করে জানান, কয়েকজন সদস্য এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইছেন। এরপর দৃশ্যপটে হাজির হন অনুরাগ।
তিনি আইসিসিকে নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারে নিজের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। তবে রাই তা নাকচ করে বলেন, মাত্র ১২ সদস্য বলতে তা হবে না। বিশেষ সাধারণ সভায় ৩০ সদস্য সর্বসম্মতভাবে রাজি হলেই আইসিসিকে নোটিশ পাঠানো সম্ভব। ৭ মে ডাকা হয়েছে সেই বিশেষ সাধারণ সভা।
আইসিসির সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে এবং বাইরে। যে আলোচনায় যোগ দেন বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর, এন শ্রীনিবাসন থেকে শুরু করে অনেকেই।
বিসিসিআইয়ের বর্তমান কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) সঙ্গে আলোচনায় অনেকেই মত দেন আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানোর জন্য। অনুরাগ ঠাকুর তো সরাসরিই মত দিলেন এ ব্যাপারে। কেউ কেউ বলছে, আইসিসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যে মেম্বার্স পার্টিসিপেশন এগ্রিমেন্ট রয়েছে (এমপিএ) সেটা থেকে যেন ভারত বেরিয়ে আসে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করে।
কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিওএ চেয়ারম্যান বিনোদ রাই পুরো প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তিনি জানিয়ে দেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা যাবে না। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা মানেই এমপিএ’র শর্ত লঙ্ঘণ করা। আর শর্ত লঙ্ঘণ করার অর্থ হলো, শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই নয়, আট বছর মেয়াদি আইসিসির নতুন আর্থিক মডেলের যে সাইকেল, তার মধ্যে কোনো টুর্নামেন্টেই আর অংশগ্রহণ করতে না পারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন