ছক্কা মেরে স্টেডিয়ামের গ্লাস ভাঙলেন সাকিব!
২০১৬ সালের শুরুতেই টি-২০’র উৎসবে মেতে উঠছে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি-মার্চে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের কারণে টি-২০ ক্রিকেটকে এখন নিজেদের দিনমান বানিয়ে ফেলছেন মাশরাফি-সাকিবরা। কদিন পরই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টি-২০ সিরিজ দিয়েই হবে যার শুরুটা। তাই এশিয়া ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে নতুন বছরের শুরুতে দেশের মাটিতে উড়িয়ে এনেছে জিম্বাবুয়েকে।
এদিকে মাঠের লড়াইয়ের আগে সোমবার খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অনুশীলনে রীতিমত বিধ্বংসী রুপে আবির্ভূত হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অনুশীলনে ছক্কা মারতে গিয়ে বলকে আচড়ে ফেলেছেন শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্স ও ভিআইপি গ্যালারিতে। তার ব্যাট থেকে বল এত জোরে গিয়ে আঘাত হানে যে, তাতে পাঁচটি গ্লাসই ভেঙে যায়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিং, চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। ব্যাট হাতে বোলারকে তুলোধুনো করতে দেখলেই মজা পান দর্শকরা। আর তার কিছুটা নমুনা দেখাতেই এদিন আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সাকিব। স্টেডিয়ামের বামপাশে প্র্যাকটিস উইকেটে বোলিং মেশিন দিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করার সময় একের পর শট খেলতে থাকেন তিনি।
স্টেডিয়ামের বাইরেও বেশ কয়েকবার বল পাঠান এই অলরাউন্ডার। এ সময় একটি বল উড়ে এসে প্যাভিলিয়ানের গ্লাসে লাগলে সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেঙে যায়। এরপর একই ধরনের শটে প্রেসিডেন্ট বক্স ও ভিআইপি গ্যালারির আরো চারটি গ্লাস ভাঙেন তিনি। এর আগে একই ধরণের ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকারও। তারও বেশ কয়েকটি বল গ্লাসে লাগে।
এদিকে আসন্ন ফেব্রুয়ারি-মার্চে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের কারণে টি-২০ ক্রিকেটকে এখন নিজেদের দিনমান বানিয়ে ফেলছেন মাশরাফি-সাকিবরা। তাই আগামী তিন মাস অনেক টি-২০ ম্যাচ খেলা হবে বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসান মনে করেন, এটাই টি-২০ উন্নতির জন্য বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ। আর যত বেশি খেলা হবে ততই এ ফরম্যাটে উন্নতি হবে বিশ্বাস সাকিবের।
সোমবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে টি-২০ তে উন্নতি সম্পর্কে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, “সবগুলি ফরম্যাটই অবশ্যই আমরা নিয়মিত খেলতে চাই। সব খেলতে পারলে তো ভালো। কিন্তু যেহেতু টি-২০ আমরা অনেক কম খেলি, আগামী ৩-৪ মান টি-২০ বেশি খেলব, এই ফরম্যাটে উন্নতির বড় সুযোগ হবে।”
বেশি বেশি খেলা ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মাধ্যমেই টি-২০ তে উন্নতি হবে বলে জানান সাকিব। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বলেন, “খেলতে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কোনো দেশই খুব বেশি টি-২০ খেলে না। সবাই কিন্তু অভিজ্ঞতাটা বেশি নেয় ঘরোয়া টি-২০ বা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকেই। বিভিন্ন দেশের দলগুলিও কিন্তু ওদেরকেই দলে নেয় বেশি। একটা টুর্নামেন্টে ১০-১৫-২০টা ম্যাচ খেলতে হয় বলে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি সঞ্চয় করা যায়। অনেক কটিণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, অনেক কিছু শেখা যায়। ওইখান থেকে অভিজ্ঞতা অনেক আসে। তবে সব ম্যাচ থেকেই শেখা যায়।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন