এমন কিছু ‘লাভ স্টোরি‘ আছে যা সিনেমার পর্দা থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু এই প্রেম কাহিনিগুলো বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত যাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়।

দিলীপ কুমার-মধুবালা : কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমার আর মধুবালার সম্পর্ক কারুর কাছে লুকানো ছিল না। ওঁদের প্রেম নিয়ে বহু গুজবও রটে। সব গুজবের ইতি টেনে‚ ওঁদের অভিনীত ছবি ‘ইনসানিয়ত‘ ছবির প্রেমিয়ারে দুজনে হাতে হাত রেখে ঢুকলেন। কিন্তু এত প্রেম থাকা সত্ত্বেও কেন ওঁরা বিয়ে করলেন না? এই প্রশ্ন বারবার সবার মনে উদয় হয়েছে। বহু বছর পর ২০১৪ সালে অবশেষে দিলীপ কুমার ওঁর এবং মধুবালার সম্পর্ক নিয়ে ওঁর আত্মজীবনী ‘দিলীপ কুমার: দ্যা সাবস্টেন্স অ্যান্ড দ্যা শ্যাডো‘য় কথা বললেন।

দেব আনন্দ -সুরাইয়া : কিশোরী বয়সেই সুরাইয়ার সঙ্গে আলাপ হয় দেব আনন্দের। সুরাইয়া তখন কেরিয়ারের শীর্ষে আর দেব আনন্দ সবে অভিনয় শুরু করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছুদিনের মধ্যেই দুজনে প্রেমে পড়ে যান। কিন্তু এই গল্পর ‘হ্যাপি এন্ডিং‘ হয়নি। ওঁদের সম্পর্কে শেষ হয়ে যাওয়ার পর দেব আনন্দ সুরাইয়াকে একজন ‘কাওয়ার্ড‘ বলেছিলেন। সুরাইয়া একটা সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন দেব ওঁকে বারবার বলতো জাতপাত‚ ধর্ম‚ ভালোবাসার থেকে কোনদিন বড় হতে পারে না। কিন্তু তখন উনি সাহস করে দেব আনন্দকে বিয়ে করতে পারেননি। পরে অবশ্য এইরকম ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সারাজীবন নিজেকে ক্ষমা করতে পারেননি উনি।

রাজ কাপুর -নার্গিস : ‘বরসাত‘ ছবির সেটে প্রেম শুরু হয় ওঁদের।রাজ কাপুর যখন মধুবালার প্রেমে পড়েন তখন উনি অলরেডি বিবাহিত। স্ত্রী কৃষ্ণা কাপুরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদেও উৎসাহী ছিলেন না উনি। নার্গিস ১০ বছরের ওপর অপেক্ষা করেন রাজের জন্য। পরে সুনীল দত্তকে বিয়ে করেন।

সঞ্জীব কুমার – হেমা মালিনী : শোনা যায় হেমা মালিনীকে এতটাই ভালোবাসতেন সঞ্জীব যে উনি অন্য কাউকে আর ভালোবাসতে পারেননি। উনি নাকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন হেমাকে। কিন্তু হেমা ওঁর সঙ্গে বিয়ে না করে মালাবদল করে নেন ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে। অনেকেই বলেন এতে এতটাই ভেঙে পরেন সঞ্জীব যে সারাজীবন আইবুড়ো থাকার সিদ্ধান্ত নেন উনি।

অমিতাভ বচ্চন – রেখা : ‘দো আনজানে‘র সেটে প্রেম শুরু হয় ওঁদের। এরপরেই গুজব শোনা যায় ওঁরা দুজনে নাকি গোপনে বিয়েও করে নিয়েছেন। ওঁদের প্রেমের কথা লুকোলো না থাকলেও অমিতাভ কিন্তু কোনদিন খোলাখুলি ভাবে ওঁদের সম্পর্কের কথা মেনে নেননি। অন্যদিকে রেখা কিন্তু বেশ কয়েকবার অমিতাভের প্রতি ওঁর প্রেমের কথা স্বীকার করে নেন। ‘সিলসিলা‘ছবির পর ধীরে ধীরে ওঁদের ভালোবাসা অন স্ক্রিন এবং অফ স্ক্রিন দু‘জায়্গাতেই শেষ হয়ে যায়।

মিঠুন – শ্রীদেবী : ওঁদের ভালোবাসার সূত্রপাত হয় ‘জাগ উঠা ইনসান‘ ছবির সেটে। কিন্তু মিঠুন তখন বিবাহিত। তা সত্ত্বেও শোনা যায় ওঁরা নাকি লুকিয়ে বিয়ে করে নেন। এরপর শ্রীদেবী মিঠুনকে যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে ওঁকে অফিসিয়ালি বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু মিঠুন এতে রাজি হননি। এরপর যোগিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আর মিঠুন এই ঘটনার পর শ্রীদেবীর সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দেন।