ছাত্রলীগ নেতা ও কলেজশিক্ষককে পেটাল পুলিশ
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপকমিশনার (পশ্চিম) এ কে এম নাহিদুল ইসলামের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা, শিক্ষকসহ তিন মোটরসাইকেল আরোহীকে বেদম মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বর্ণালির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপকমিশনার এ কে এম নাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশের এমন আচরণের প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের নেতারা।
তবে উপকমিশনার নাহিদুল ইসলাম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরীর বর্ণালীর মোড় দিয়ে যাচ্ছিল আরএমপির উপকমিশনার নাহিদুল ইসলামের গাড়ি। এ সময় রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম মোটরসাইকেলে কলেজে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে উপকমিশনারের গাড়ি তাকে বেশ কয়েকবার হরন দেয়।
সাইড দিতে দেরি হওয়ায় শিক্ষক সাদেকুলকে গাড়ি থামাতে সিগন্যাল দেয় পুলিশ। এরপর উপকমিশনারের দেহরক্ষী কামরুজ্জামান গাড়ি থেকে নেমে বেধড়ক মারপিট করেন ওই শিক্ষককে।
এ সময় অপর দিক থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী মিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির আহাম্মেদ ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আরেফিন পারভেজ বন্ধন। তাদেরও মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারপিট করে পুলিশ।
উপকমিশনার নাহিদুল ইসলামের সামনে তার দেহরক্ষী এভাবে কলেজশিক্ষককে মারপিট করায় বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকারের নেতৃত্বে শিক্ষকরা আরএমপির সদর দপ্তরে গিয়ে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানান।
এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজীবসহ ছাত্রলীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কলেজশিক্ষককে যেভাবে মারপিট করা হয়েছে, তা ক্ষমতার অপব্যবহার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদ কর্মসূচি দেবে বলে জানান তিনি।
মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির আহাম্মেদ বলেন, ‘মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম বর্ণালীর মোড়ে। এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার নাহিদুল ইসলামের গাড়ির সামনে পড়লে কোনো না জেনেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। ’
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পুলিশ কমিশনার নাহিদুল ইসলাম বলেন, তাদের কাউকে মারধর করা হয়নি। মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত আরোহী তোলায় কেবল মামলা দেয়া হয়েছে।
উপকমিশনানের ভাষ্য, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিনজন এক মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে আমার উপস্থিতিতেই মামলা দেয়া হয়েছে। আরেকটি মোটরসাইকেলে শিক্ষক সাদেকুল ইসলামসহ দুজন যাচ্ছিলেন। তাদেরও কাগজপত্র তল্লাশি করা হয়। তাদের অপরাধ ঢাকতেই তারা মনগড়া কাহিনী সাজাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন