ছুটিতে ঘুরে আসুন ‘শ্যামল বাংলা’
যানজটের এই নগরে সবাই যেন কম বেশি যন্ত্র মানব। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। বাসা থেকে বের হওয়ার পর কাজে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়তে হয় যানজটে। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবারও যানজট, বাড়ি ফিরে খেয়েই ঘুম। এমন অবস্থা থেকে মানুষের মন আকুপাকু করলেও প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেয়ার মতো তেমন কোনো জায়গা নেই।
রাজধানীবাসীকে এমন অবস্থা থেকে একটু হতেই স্বস্তি দিতে পারে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার দূরে কলাতিয়ার তারানগরে অবস্থিত রিসোর্ট ‘শ্যামল বাংলা’।
কলাতিয়ার তারানগরে যেতেই চোখে পড়বে শ্যামল বাংলার চমৎকার রিসোর্টটি। যানজটহীনভাবে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রিসোর্টেতে পৌঁছতে সময় লাগবে ২৫-৩০ মিনিট। নামের সঙ্গে প্রকৃতিও যেন সুবিচার করেছে। ঘন সবুজে ঘেরা রিসোর্টটি আপনাকে পৌঁছে দেবে ‘শ্যামল বাংলা’র দোরগোড়ায়।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘শ্যামল বাংলা’ রিসোর্ট। সাড়ে তিন একর জমির উপর গড়ে ওঠা রিসোর্টটি এখন রাজধানীর বহু বিনোদন প্রেমীর সুপরিচিত। স্থানীয়দের জন্যও বিনোদনের একমাত্র খোরাক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কলাতিয়া উপজেলাসহ আশপাশে আর কোনো রিসোর্ট কিংবা ভাল কোনো বিনোদনকেন্দ্র নেই। শুরুর দিকে কেবল বিনোদন কেন্দ্রে অভাবে দায় ঠেকে এখানে আসলেও, তাদের অনেকেই এখন শ্যামল বাংলার শ্যামলতায় পঞ্চমুখ।
সাঁতার জানা ও সাঁতার পছন্দকারীদের জন্য আছে সুব্যবস্থা। রয়েছে দুটি সুইমিং পুল। দল বেধে সাঁতার কাটার আনন্দ দারুণভাবে উপভোগের সুযোগ আছে এখানে। রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা সুইমিং পুল। এক্ষেত্রে প্রতিজনের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য সম্পূর্ণ আপোষহীন। ২৫ জন কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত রিসোর্টটিতে জনসমাগম থাকে সারা বছরই। আর হয়তো সেজন্যই শ্যামল বাংলার গ্রাহকরা নিজেরাই এ রিসোর্টের প্রচারণা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও একটি ওয়েবসাইটের বাইরে তাই শ্যামল বাংলার আর কোনো প্রচারণা চোখে পড়েনি। রয়েছে দেশীয় খাবারের সুব্যবস্থা। ভাত, মাছ, ডাল, ভূনা খিচুরির পাশাপাশি খাবার মেন্যুতে রয়েছে বারবিকিউ খাবারের স্বাদ। সম্প্রতি খাবারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতীয়, চাইনিজ ও থাই খাবার। কর্তৃপক্ষ বলছে, সকল প্রকার খাবারের দাম রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের নাগালের মধ্যে।
শ্যামল বাংলা রিসোর্টটির বিপণন বিভাগের প্রধান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে আগত অতিথিদের পছন্দকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। শুরুর দিকে দেশি ও কিছু বারবিকিউ থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা মেন্যু বাড়িয়েছি। খাবারের মানের বিষয়ে যেমন কারো আপত্তি নেই, তেমনি দামও বাহিরের তুলনায় বেশ নয়।’
দেশীয় খাবারের তালিকায় আছে বিভিন্ন রকম ভর্তা, ভাত, চিকেন কারি, ডাল ও কোমল পানীয়সহ প্যাকেজ। পুরো প্যাকেজটির দাম রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। ভুনা খিচুড়ি পাওয়া যাচ্ছে ১৯০ টাকায়। বারবিকিউর স্বাদ নিতে চাইলে চিকেন বারবিকিউ এর ক্ষেত্রে খরচ পরবে ২২০ টাকা।
ঈদকে সামনে রেখে বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে শিশু পার্ক। শিশুদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে শিশুপার্ক। ট্রেন, হানিসুইং, সাম্পান নৌকা যোগ হয়েছে পার্কটিতে। প্রতিটি রাইডের মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। রিসোর্টের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রবেশ মূল্যের প্রয়োজন হবে না। অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকলেও, শ্যামল বাংলা রিসোর্টে পাড়ি জমাতে পারবেন যেকোনো দিন। সপ্তাতে সাতদিনই খোলা শ্যামল বাংলার দরজা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন