ছেলেদের কাছ থেকে এই ৬টি বিষয় শেখা উচিত মেয়েদের
বহু বিশেষজ্ঞের মতে, নারী-পুরুষ হলো একটি পয়সার দুই পিঠ। দুজনই যার যার অনন্য বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর। তারা একে অপরের কাছ থেকে নানামুখী গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা নারীদের শিক্ষার কথা বলছেন। পুরুষদের কাছ থেকে নারীরা পেতে পারেন এমন ৬টি বিষয়ের কথা জানিয়েছেন তারা।
১. যুক্তির শিক্ষা : জীবনের সবকিছুর পেছনে যুক্তি রয়েছে। পুরুষরা এটি বেশি অনুধাবন করেন। তারা নিজের ভেতরের যুক্তি উপলব্ধি করেন এবং এর চর্চা চালিয়ে যান। কিন্তু নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই এ নিয়ে মোটেও সচেতন নন। আবার নারীদের রয়েছে বাস্তবিক বিচারবোধ। জীবনে বহু অভিজ্ঞতা থেকে তারা এটি লাভ করেন। আবার প্রকৃতিগতভাবেই নারীরা বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
২. আবেগ মাঝে মধ্যেই মূল্যহীন : অভিজ্ঞজনদের মতে, সব পরিস্থিতি বা অবস্থাতেই চরম আবেগাপ্লুত হওয়ার প্রয়োজন নেই। মাঝে মাঝে আবেগের লাগম টেনে ধরতে হয়। নারীদের বিষয়ে আবেগের প্রকাশ ঘটানো মানেই যে তাদের অবহেলা করা, তা মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু নারীদের আবেগ অনেক বেশি যা তারা কোনভাবেই সামলে রাখতে পারেন না। তারা পুরুষের কথায়, কাজে বা আচরণে খুব দ্রুত আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।
৩. সবকিছু তীব্রভাবে প্রকাশ করতে নেই : প্রেম-ভালোবাসা, কষ্ট বা আনন্দের প্রকাশ নারীদের মাঝে তীব্রভাবেই দেখা যায়। কিন্তু পুরুষা উপলব্ধি করেন, সব সময় এর প্রয়োজন নেই। ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে মেয়েদের মধ্যে চরম আবেগের দেখা যায়। কিন্তু পুরুষরা এ ক্ষেত্রে শিক্ষণীয় হয়ে ওঠতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুজনের মধ্যে একজনকে এ বিষয়টি বুঝতে হবে। তীব্রতা গভীরে যেতে বাধা দেয়। তাই অনেক সময় লাগাম টানা জরুরি।
৪. গসিপ কেবল প্রয়োজনের খাতিরে : পুরুষরা তাই মনে করেন। সাধারণত এ বিষয়টি পছন্দ করেন না ছেলেরা। কিন্তু মেয়েরা গসিপে মেতে থাকতেই ভালোবাসেন। অথচ বিষয়টি ক্ষতিকর। আর এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় এড়িয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু প্রয়োজন হলে তখনই গসিপকে ‘হ্যাঁ’ বলে থাকেন পুরুষরা। তা ছাড়া এর জন্যে মেজাজ-মর্জিরও প্রয়োজন পড়ে। গসিপ সব সময়ের জন্যে নয়।
৫. সেন্স অব হিউমার : সবাই মনে করেন, কেবল মেয়েরাই ছেলেদের মধ্যে সেন্স অব হিউমার খোঁজেন। কিন্তু পুরুষরাও মেয়েদের এই গুণের প্রতি মুগ্ধ থাকেন। তা ছাড়া এটি দারুণ একটি গুণ। কাজেই মেয়েদেরও সেন্স অব হিউমারের শিক্ষাটা ছেলেদের কাছ থেকে নিতে পারেন।
৬. বাস্তবতা অনুধাবন করা : প্রায় সব পুরুষই অভিযোগ করেন, নারীরা নিজের স্বপ্ন নিয়ে বিভোর হয়ে থাকেন। তারা বাস্তবতা বুঝতে চান না। অথচ পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও বাস্তবতা বোঝা দরকার। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে বাস্তব অবস্থা ও কল্পনার পার্থক্যটা বুঝতে হবে। কিন্তু নারীরা প্রতিটি বিষয়েই যেন কল্পনায় ভাসেন। এগুলো চিন্তা করতে, বলতে ও শুনতে তাদের ভালো লাগে। কিন্তু ক্রমশ এগুলো পূরণ না হলে অশান্তি আসতে থাকে। একটু বাস্তবতা বুঝলে তাই জীবনের না পেরেশানি থেকে মুক্তি মেলে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন