ছোটবেলায় মা চেয়েছিলেন আমি ভালো ছাত্র হই: সাব্বির
আজ মা দিবস। মাকে নিয়ে লিখেছেন জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা, অভিনেত্রী-মডেল, আলোকচিত্রী এবং অদম্য মেধাবী তরুণেরা। আবার বিশেষ শিশুর লালনপালন করার সংগ্রামের গল্প শুনিয়েছেন আরেক মা। এই নিয়েই বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘মাকে নিয়ে’
মা-বাবাকে ছাড়া বেশিক্ষণ থাকতে পারতাম না এক সময়। খেলার কারণে রাজশাহীর বাইরে, দেশের বাইরে থাকতে হয়। দেশে থাকলে ছুটি পেলে মায়ের কাছে চলে যাই। অস্থির লাগে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে যখন বিদেশে খেলতে যাই, তখন প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে কথা হয়। মা ঠিকমতো ওষুধ খেলেন কি না, খাবার খেয়েছেন কি না, সব খোঁজই দূর থেকে রাখি।
তবুও মাকে খুব মিস করি। গত বছর মা দিবস মায়ের সঙ্গে কাটিয়েছি। এবার পারছি না। মনটা খারাপ। মায়ের জন্য গতবার অনেক কেনাকাটা করেছিলাম। দেশে থাকলে কিছু একটা করে মাকে চমকে দিতাম। এবার ভালো খেললে সেটাই হবে মায়ের জন্য বড় উপহার।
বাড়িতে দুই ভাইয়ের মধ্যে আমি ছোট। পরিবার ও কাছের মানুষেরা আমাকে রুম্মন ডাকে। আমি মায়ের রুম্মন। আদর আহ্লাদ সবই একটু বেশি পাই। আমার মা হাজেরা খাতুন চাকরি করেন। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে সব কাজে সাহায্য করতাম। এখন তো খুব একটা সময় পাই না। ঈদের দিনে মায়ের ওপর খুব চাপ পড়ে। সেদিন মাকে কাজে সাহায্য করি। শসা, পেঁয়াজ, টমেটো ‘অসাধারণ’ কাটতে পারি।
ছোটবেলায় মা চেয়েছিলেন আমি ভালো ছাত্র হই। লেখাপড়া করতে চাইতাম না। তখন বকা দিতেন। যখন খেলা শুরু করলাম, মা অনেক সমর্থন দিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষা চলছিল, হঠাৎ ডাক পেলাম ঢাকার অনূর্ধ্ব-১৩ দলে খেলার। মায়ের মন একটু খারাপই হয়েছিল, আমি বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে পারব না। কিন্তু আমাকে আটকে রাখতেও চাননি। আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছেন। তিনি জানতেন, তাঁর রুম্মন তো ক্রিকেটারই হতে চায়। বাড়ি ও অফিসের কাজে যতই ব্যস্ত থাকুন মা, আমার খেলা থাকলে সব বাদ। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও করছি।
মায়ের দোয়া না থাকলে এত দূর আসা হয়তো হতো না। কখনো কোনো কিছু নিয়ে অহেতুক বায়না করতাম না আমি। এমনকি মা যা রান্না করতেন তা-ই খেতাম। এখনো বাড়িতে যখন থাকি, মায়ের হাতে খাই। মায়ের হাতের খিচুড়ি, গরুর মাংস, আচার ও লাচ্ছা সেমাই খুব প্রিয় আমার। কাপড় পরতে পরতেই মাকে হয়তো বলেছি, খাইয়ে দাও। এত তৃপ্তি অন্য কিছুতে পাই না।
আমার যখন খেলা থাকে। মা-বাবা দুজনই খুব টেনশনে থাকেন। আমি ক্রিজে থাকলে বাবা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন, বাবা নড়লে যদি আমি আউট হয়ে যাই। আমি খুবই সৌভাগ্যবান এমন মা-বাবার সন্তান হতে পেরে।
লেখক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন