‘জঙ্গি’ ঘাঁটি উচ্ছেদের দাবিতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বিক্ষোভ
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে হামলা করতে স্থাপন করা বন্দুকধারীদের শিবির উচ্ছেদ করতে বিক্ষোভ হয়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদসহ বেশ কিছু শহরে। এসব ক্যাম্পকে স্থানীয়রা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন।
ভারতের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন এনডিটিভিসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম এই বিক্ষোভের সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে স্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিওতেও এসব বিক্ষোভের খবর প্রচার হয়।
শুক্রবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মুজাফফরাবাদ ছাড়াও মিরপুর, গিলগিট, চিংড়াই, নিলাম উপত্যকা, ডায়ামার ও আশেপাশের এলাকায় এই বিক্ষোভ হয়। স্থানীয় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়।
পাকিস্তান সরকার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। পাকিস্তানের কাছ থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পেয়েই বন্দুকধারীরা কাশ্মিরে বারবার হামলা করছে বলেও অভিযোগ করছে ভারত। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিক কাশ্মিরের উরিতে সেনাঘাঁটিতে বন্দুকভারীদের হামলায় ১৮ জন সেনা নিহত হওয়ার পর আবারও পুরনো অভিযোগটি সামনে এসেছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতীয় কমান্ডোদের ঝটিকা অভিযান সার্জিকাল স্ট্রাইকে জঙ্গিদের কয়েকটি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ভারত সরকার। এই অভিযানে অন্তত ৩৮ জঙ্গি এবং দুই পাকিস্তানী সেনাও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। পাকিস্তান অবশ্য পাল্টা দাবিতে বলেছে, হামলাকারী কয়েকজন সেনাকে হত্যা এবং একজনকে আটক করা হয়েছে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারত একে কাল্পনিক বলেছে। তাদের দাবি, অভিযানকারী সেনাদের গায়ে একটি আঁচড়ও পড়েনি।
বিক্ষোভকারীরা ভারতের এই ধরনের অভিযান নিয়েউ উদ্বিগ্ন। তারা অভিযোগ, আস্কারা দিয়ে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা বানিয়েছেন। আর এ জন্য ভারতীয় সেনারা এখন সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানের চারটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। এ রকম অভিযান আরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ধরনের অভিযান হলে স্থানীয়দের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়তে পারে বলে এসব জঙ্গি শিবির উচ্ছেদের দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবির পক্ষে নানা রকমের ব্যানার বহন করছিলেন। তারা বলেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিদের বাসিন্দাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা দিনের বেলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিশে থাকে এবং রাতে প্রশিক্ষণ নেয়।
গিলগিট এলাকার মোহাম্মদ আকরাম রিয়াজ স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘দিয়ালমার, গিলগিট, বাসিন ও আশেপাশের এলাকায় জঙ্গি ক্যাম্প না সরালে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামবো।’
এই মাএ পাওয়াঃ-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে ভারতীয় সেনা আহত, গোলাগুলি এখনো চলছে…
এর আগে গত বরিবারও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের কটিল এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সেনা সংস্থা আইএসআই এর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ হয়। সন্ত্রাসীদেরকে পাকিস্তান সরকারের মদদ দেয়ার প্রতিবাদকারী নেতাদেরকে ধরে নিয়ে হত্যা, ভুয়া এনকাউন্টার এবং নির্যাতনের অভিযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন