সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘জঙ্গি’ তানভীরের শেকড় পাকিস্তানে

রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সন্দেহভাজন জঙ্গি তানভীর কাদেরী শিপারের দাদা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসে গাইবান্ধায় বসবাস করছিলেন। তার বাবাও মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তান থাকতেন। যুদ্ধের পর তিনি গাইবান্ধায় আসেন। তাদের স্বজনদের অনেকেই এখনও সেই দেশেই আছেন।

তবে তানভীরের দাদার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তানভীরদের বাড়িতে একাধিকবার গিয়েও তার বাবা, মা বা ভগ্নিপতিকে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়িতে তার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় আছেন, তিনিও তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। প্রতিবেশীরা জানান, তানভীরের দাদা মারা গেছেন। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ বলছেন, তানভীরের দাদার নাম আলিমউদ্দিন খান, কেউ বলেন সিরাজুল ইসলাম প্রধান, কেউ বলেন নজরুল ইসলাম।

গাইবান্ধায় তানভীরের স্বজন ও পরিচিতজনরা জানান, ২০১৪ সালে সপরিবারে হজ করে আসার পর থেকেই তানভীরের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রতা দেখা যায়। এ সময় তিনি অন্য ব্যক্তিদেরও উগ্রবাদে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন। বন্ধুদের সাথে আলোচনা হলেই তিনি বলতেন, এ দেশে সঠিক ভাবে ধর্ম মানা হয় না।

১১ সেপ্টেম্বর তানভীরের মরদেহ উদ্ধারের পর তার আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে তার নাম জামসেদ বলে জানায় পুলিশ। জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়ায়। কিন্তু ওই এলাকায় এই নামে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পরে তার আসল পরিচয় জানা যায়।

তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, তানভীরের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকামাড়ি গ্রামে। তাকে সবাই শিপার নামে চিনতো। তার বাবা আব্দুল বাতেন কাদেরী টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে তানভীরের বাবা কী বলেছেন-জানতে চাইলে গাইবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘তানভীরের বাবা, মা, ভগ্নিপতির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না।’

স্বজনরা জানান, গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এসএসসি এবং দুই বছর পর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তানভীর। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাসের পর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। চাকরি করা অবস্থায় এমবিএ পাস করেন তানভীর।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষদিকে তানভীর তার পরিবারকে জানান, ভাল চাকুরির আশায় তিনি মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছেন। এরপর থেকে পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করেন বাবা আবদুল বাতেন কাদেরী।

গত ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার পুরান ঢাকার লালবাগ রোডের ২০৯/৫ নম্বর বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে তানভীর কাদেরী শিপারের মরদেহ উদ্ধার হয়। দুদিন পর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন এই জঙ্গি আত্মহত্যা করেছেন।

অভিযান চলাকালে তানভীরের স্ত্রী ও ছেলে পুলিশের উপর হামলা করে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি। পরে পুলিশের গুলিতে ও নিজেদের ছুরিকাঘাতে আহত হন তিন নারী জঙ্গি। ওই আস্তানা থেকে তানভীরের স্ত্রী ও ছেলেকে আটক করে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘তানভীরের নামটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর থেকে বেশি কিছু আমাদের জানা নেই। তার ছেলেও শুনেছি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গেছে।’ঢাকাটাইমস

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
  • দেশে ফিরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস
  • মিরপুরে ঝগড়ার জেরে ‘সাততলা থেকে ফেলে’ যুবককে হত্যার অভিযোগ
  • ‘হলে থাকতেন-টিউশনি করতেন, এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন’
  • শুক্রবার বৈঠকে বসছেন ইউনূস-মোদি
  • এসএসসি পেছানোর দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, যা বলছে শিক্ষা বোর্ড
  • মব-নারীবিদ্বেষ-তৌহিদি জনতা: দেশে চরমপন্থা বিকাশের সুযোগ সত্যি নাকি বিভ্রান্তি?
  • নাহিদ: আওয়ামী দুঃশাসনের ভুক্তভোগীদের কাছে ৫ আগস্ট অবশ্যই দ্বিতীয় স্বাধীনতা
  • দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
  • ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে আহ্বান জানালো সৌদি আরব
  • ৬ ডলারে নামছে না রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা, কমছে ৫০ সেন্ট
  • আরও একমাস বাড়লো পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ