বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জঙ্গি তামিম এই নিরিবিলি বাড়িটি বেছে নিয়েছিল কেন?

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবন থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে পাইক পাড়া। সরেজমিনে দেখা গেছে, এ জায়গাটি বেশ নিরিবিলি। আত্মগোপনে থাকার জন্য এমন নিরিবিলি জায়গা বেছে নিয়েছিলেন ঢাকার গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী।

পাইকপাড়ায় শাহ সুজা রোডের বড় কবরস্থান ও ছোট কবরস্থান নামে খানিক দূরত্বে দুটি কবরস্থান আছে। মাঝে ৪১০/১ এ নিরিবিলি পরিবেশে ছিমছাম তিনতলা একটি বাড়ি। এই বাড়িটিকেই নিরাপদ আবাস হিসেবে বেছে নিয়েছিল ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত ওই জঙ্গি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. গনি মিয়া বলেন, ‘বাড়িওয়ালা ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি এ বাড়িতে থাকেন না। আমাদের পাইকপাড়া অত্যন্ত নিরিবিলি এলাকা। এখানে কোনো ঝামেলা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নেই। কিন্তু আমাদের শান্ত নিরিবিলি এলাকাকে জঙ্গিরা নিরাপদ আস্তানা হিসেবে বেছে নিয়েছে, ভাবতেই গা শিউরে ওঠে।’

প্রায় একই কথা বললেন ঘটনাস্থলের কিছু দূরের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজাদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার চারপাশে পুলিশ ও র‍্যাব। বুঝতে পারলাম কিছু একটা হতে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে বৃষ্টির মত গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। প্রায় একঘণ্টা পর গুলির আওয়াজ থেমে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে আজ মনে হলো মুক্তিযুদ্ধ বুঝি এমন ছিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার জন্ম এখানে। জন্মের পর থেকে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। আমাদের পাইক পাড়া অত্যন্ত নিরিবিলি ও শান্ত।’

রিয়াজুল ইসলাম নামে এক মুসল্লি বলেন, ‘শুনেছি আমাদের পাইক পাড়ার এই মসজিদেই জঙ্গিরা নামাজ পড়ত। কী সাংঘাতিক ব্যাপার। হয়ত আমাদের পাশে বসেই নামাজ পড়েছে কিন্তু আমরা কখনো বুঝতে পারিনি।’

পাইক পাড়া এলাকার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ভোরে নামাজের ওজু করতে উঠে দেখি কারা যেন বাসার চারপাশে অবস্থান নিয়েছে। ভয় পেলাম। পরে একজন এগিয়ে এসে জানাল যে তারা পুলিশের লোক।’

তিনি বলেন, ‘আমার বিয়ের পর থেকে প্রায় ৩০ বছর এখানে আছি। কিন্তু কখনো এমন ঘটনা দেখিনি।’

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এক ঘণ্টার ‘হিট স্ট্রং ২৭’ অভিযানে অংশ নেয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াত, র‌্যাব ও পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের এই আস্তানার খোঁজ মেলে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল

ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • উপদেষ্টা: গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন চাকরিতে 
  • ইরানে সরকার পরিবর্তন চান না ট্রাম্প
  • কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি পৌনে দুই লাখের কাছাকাছি
  • ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৭১
  • গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
  • আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র