জঙ্গি দমনে সারাবিশ্ব বাংলাদেশের সাথে আছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের মানুষ একা নয়, সারা বিশ্বই বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় একথা বলেন তিনি। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনসহ আরও বেশ কিছু দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আমরা সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করছি। কোথা থেকে তারা (জঙ্গিরা) অর্থ ও অস্ত্র পেল। কারা হামলা করতে উৎসাহিত করল। সব বের করতে পারব। জনগণের শক্তি বড় শক্তি। তিনি বলেন, জঙ্গিদের মরদেহগুলো এখনো রয়ে গেছে। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেগুলো দেশে সম্ভব সেগুলো দেশে হচ্ছে, বাকিগুলো বিদেশে। কীভাবে ঠান্ডা মাথায় নিষ্ঠুরভাবে মানুষ হত্যা করে তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একদিকে এই ঘটনার নিন্দা করেছে, অপরদিকে এত দ্রুত সময়ে আমরা যে এই সন্ত্রাসীদের দমন করতে পেরেছি সেটার প্রশংসা করেছে। পৃথিবীতে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে হয়তো অনেক বেশি সময় লেগেছে আক্রমণকারী, সন্ত্রাসী বা যারা জিম্মি করেছে তাদের দমন করতে। কিন্তু বাংলাদেশ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বলে জানান তিনি। এটা আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে জানাতে চাই যে- বাংলাদেশের জনগণ একা নয়, সারা বিশ্ব আমাদের সাথে আছে সন্ত্রাস দমনে। শেখ হাসিনা জানান, গুলশানে হামলার তদন্তের জন্য ‘স্পেশাল টিম’ করে দেওয়া হয়েছে।
“ই ঘটনাটার পর আমরা আরও সতর্কতা অবলম্বন করেছি। সেই সাথে সাথে এর শেকড় কোথায়? সেই শেকড়ের সন্ধানে আমরা নেমেছি যে, কোথা থেকে তারা অর্থ পেল, অস্ত্র পেল, তাদেরকে এইভাবে মানুষ খুন করতে কারা উৎসাহিত করল এবং কাদের কথায় তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটালো। এর সব আমরা বের করতে পারব। একইসঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবাইকে তিনি আহ্বান জানান, ‘কোথাও জঙ্গি সৃষ্টি হচ্ছে বা বিপথে নিয়ে যাওয়া’ এ রকম তথ্য পেলে তা সরকারকে জানাতে।
ধর্মের প্রকৃত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। প্রত্যেক ধর্মই শান্তির বানী বলেছে। প্রত্যেকেই ধর্ম সম্পর্কে সহনশীলতার কথা বলেছে, অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীলতা দেখানোর কথাই বলা আছে। হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কখনোই কোনো সমাধান হয় না। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। মানুষের মাঝে যথেষ্টে সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। জনগণ যখন সচেতন হবে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও গুরুদায়িত্ব আছে বলে মন্তব্য করেন দলীয় সভানেত্রী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন