জঙ্গি সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ মালয়েশিয়া ফেরত বাংলাদেশির সঙ্গে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা অথবা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত অস্ত্র মামলার আসামি পেয়ার আহম্মদ আকাশের কোনো সম্পৃক্ততা এখনো পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে যে খবরাখবর এসেছে সেগুলো পরবর্তী সময়ে যাচাই করা হবে।
আজ শনিবার সকালে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত জঙ্গিবাদবিষয়ক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পেয়ার আহম্মদ আকাশ ফেনী জেলার একটি অস্ত্র মামলার আসামি। ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছিল। এই রেড নোটিশের আলোকেই তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। হলি আর্টিজান বা জঙ্গিবাদের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা এখনো আমরা পাইনি। তবে আন্তর্জাতিক পত্রিকায় এ ধরনের যে খবরাখবর এসেছে, সেগুলো আমরা পরবর্তী সময়ে যাচাই করে দেখব।’
১১ বছর আগে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার খোয়া যাওয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আকাশ। পরে তিনি জামিন নিয়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। ফেনীর অস্ত্র মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট ছিল।
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক খালিদ আবু বাকের এক বিবৃতিতে পেয়ার আহম্মদের নাম উল্লেখ না করে বলেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে গত ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি ছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
মালয়েশিয়ার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বুকিত বিনতাং এলাকায় রেস্তোরাঁ চালাতেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার পুলিশ পেয়ার আহম্মদকে দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাঁর স্থান হয় ফেনী কারাগারে। ফেনীর জেল সুপার শংকর কুমার পেয়ার আহম্মদের ফেনী কারাগারে থাকার কথা নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন। তিনি বাংলাদেশে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করছে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ যে ভূমিকা পালন করছে তা তাদের দক্ষতা, দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম এবং জবাবদিহিতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় অর্জিত সাফল্যকে টেকসই করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি সন্ত্রাস দমনে অংশীদারত্বমূলক পুলিশি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনে সংলাপ অব্যাহত রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন