জঙ্গি সরোয়ারের পদ, র্যাব-পুলিশের ভিন্ন বক্তব্য
জঙ্গি নেতা তামিম চৌধুরী, তানভীর কাদেরী ও মেজর জাহিদ নিহতের পর ‘নব্য জেএমবি’র নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়। তবে অর্থের প্রধান যোগানদাতা হওয়ায় নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠনের কর্ণধারের দায়িত্বে চলেন আসে আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে নিহত সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান।
তবে সরোয়ার জেএমবির তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন বলে জানিযেছেন গোয়েন্দারা।
আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে সরোয়ার নিহত হওয়ার পরদিন আশুলিয়া মডেল থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে র্যাব বাদী হয়ে মামলা করে। ঘটনাটির তদন্ত করছেন র্যাব-৪ এর মেজর মোহাম্মদ মাসুদ।
শুক্রবার বিকেলে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘২৭ আগস্ট রাত ২টা ২৩ মিনিট থেকে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত ফোনে সরোয়ার ও তামিম চৌধুরীর মধ্যে কথা হয়। এ সময় তামিম তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের দায়িত্ব না দিলেও দেখাশুনার কথা বলেন। যার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। একই সঙ্গে সরোয়ারের বাসা থেকে এ সংক্রান্ত অনেক নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়। সেখানে ‘নব্য জেএমবি’র পরবর্তী নেতা কে হবেন, কীভাবে সংগঠন পরিচালিত হবে- তাও তদন্তে পাওয়া গেছে। সরোয়ার যে ‘নব্য জেএমবি’র প্রধান ছিলেন, তার স্বপক্ষে প্রমাণাদি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নব্য জেএমবি’ পরিচালিত হতে যে টাকার প্রয়োজন হয়, তা বিদেশ বা দেশের ভেতর থেকে আসত সরোয়ারের কাছে। পরে তিনিই জঙ্গি হামলার আগে টাকা সরবরাহ এবং অস্ত্র-গোলাবরূদ কিনতেন। সরোয়ার যে অর্থের মূলহোতা ছিলেন, তার সব ধরনের হিসাবও ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরোয়ারের পরে পলাতক জঙ্গি নেতা আব্দুর রহমান মারজান ও মোহাম্মদ বাশুরুল্লাহ চকলেট ভাইয়ের অবস্থান। তাদের দুইজনকে ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা সরোয়ারের নির্দেশ বা পরিকল্পনায় চালানো হয়।’
আর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম লেন, ‘ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলা ফৌজদারি কার্যবিধির সব নিয়ম মেনে তদন্ত করা হয়। একদল পেশাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে সরোয়ার নব্য জেএমবি’র তৃতীয় সারির একজন নেতা বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এ নিয়ে বেশি কিছু বলার সময় এখনো হয়নি।’
অবশ্য র্যাব থেকে আরও জানা গেছে, আশুলিয়ায় অভিযানে সরোয়ারের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কল্যাণপুর, আজিমপুরসহ জঙ্গি আস্তানা থেকে রিগ্যানসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা সরোয়ার জাহানের ব্যাপারে তথ্য দেয়। কোনো হামলার আগে- কীভাবে হামলা করতে হবে, কোথায় অবস্থান নিতে হবে, হামলার পর কী করতে হবে, ধরা পড়লে তার নাম (সরোয়ার) বলা যাবে না ইত্যাদি বিষয়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেন সরোয়ার। এ সব তথ্য যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে তামিম, তানভীর ও মেজর জাহিদের পরে সরোয়ার সংগঠনের দায়িত্ব পান।
কোনো জঙ্গির দুই ধরনের সাংগঠনিক অবস্থান হলে তদন্ত বা বিচার বাধাগ্রস্ত হয় বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ মনে করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘দুটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা কাজ করছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সাংগঠনিক অবস্থান যাই হোক, তিনি যে অপরাধী, তা তদন্ত সংশ্লিষ্ট্রদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
অধিনায়কদের কেন ছেড়ে দিল আইপিএলের ৫টি দল?
যার নেতৃত্বে গত মৌসুমে আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) জিতলো কলকাতাবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি শিক্ষার্থীদের ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আল্টিমেটাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ঢাকার সরকারি ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলেরবিস্তারিত পড়ুন
নতুন কোচ পেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
গুঞ্জন ডালপালা মেলার আগেই তা ছেঁটে দিয়ে নতুন কোচের নামবিস্তারিত পড়ুন