জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণঃ যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন সাফাত ও সাদমান

পালিয়ে সাফাতরা সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঠাকুরবাড়ি রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে গিয়েছিল এমন তথ্য পাওয়ার পরই তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। এক পর্যায়ে জানা যায় তারা মদিনামার্কেট এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছে। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করতে ঢাকা থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল সিলেটে যায়। তারা সেখানে গিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকের পর পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল এলআইসি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় স্থানীয় পুলিশের সহযোগীতায় মদিনামার্কেট এলাকার রশীদ ভিলা নামের বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাদের ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
সিলেট মহানগরের উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা (গণমাধ্যম) এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রশীদ ভিলার মালিক মামুনুর রশীদ লন্ডন প্রবাসী। ওই বাড়িতে মামুনের মা ও একজন কেয়ারটেকার থাকতেন। তবে বুধবার বিকেলে মামুনের মা গ্রামের বাড়িতে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামুনের পূর্বপরিচিত হিসেবে সাফাতরা ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। এর আগে ঢাকা থেকে পালিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে সোমবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকায় ঠাকুরবাড়ি রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে যায় সাফাতসহ চারজন। কিন্তু তারা কোন পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তাদের সেখানে রুম দেওয়া হয়নি।
গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীকে। পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও পরে ৬ মে মামলা গ্রহণ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করা হয়। মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। আর সাদমান পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নাঈম আশরাফ (৩০), সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল (২৬) ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী।
মামলার পর বনানী থানার পরিদর্শক মতিন তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে সরিয়ে এখন তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগকে। ঘটনার ৩৭ দিন পর মামলা হওয়ায় অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরও আলামত ও সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও দাবি করছে পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী বলে পুলিশ তাদের ছাড় দিচ্ছে নানা মহল থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন