জবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি ছাত্রশিবিরের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির। এছাড়াও দ্বিতীয় ক্যম্পাসের কাজ দ্রত সময়ের মধ্যে শেষ করা, আবাসন সংকট সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বৃদ্ধিসহ স্বৈরাচারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সমাধানে গঠিত কমিটির সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় কমিটির আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার প্রতিনিধিসহ কমিটির শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুল ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া দলীয় ও রাজনৈতিক সুপারিশে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধ করে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের প্রাধাণ্য দিতে হবে। এছাড়াও যত্রতত্র অনলাইন ক্লাস বন্ধ করে বিভাগের ক্লাস শিক্ষক মূল্যায়নের জন্য রেটিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় জবি ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, “১৬ বছর ধরে যাদের দ্বারা শিক্ষার্থীরা হয়রানি ও হামলার শিকার হয়েছে তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে এমন প্রমাণিত হলে তাদের সনদ বাতিলেরও দাবি করছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চাই।”
এসময় তিনি জুলাই বিল্পবে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা জন্য আর্থিক ফান্ড কালেকশন, ই-লাইব্রেরি আধুনিকায়ন ব্যবস্থা করাসহ শহিদ ও আহতদের জন্য সম্মাননা স্মারক দেওয়ার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ইভান তাহসিব বলেন, “সেনাবাহিনীর হাতে কাজ তুলে দেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। একইসঙ্গে প্রশাসন যেন সতর্ক থাকে ডিলটা কিভাবে হবে। এছাড়া টিএসসি সংস্কারসহ এই জায়গাটা কিভাবে সংস্কার করা যায় তা দেখা দরকার।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধি নূর নবী বলেন, “বারবার বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কিন্ত বাস্তবায়ন হয় না। শিক্ষার্থীদের কল্যানে জকসু নির্বাচন, ক্যান্টিনে ভর্তুকি, হলের বিষয় নিয়ে কোনো অগ্রগতি দেখিনি। স্বৈরাচারের দোসরের তালিকা হয়নি। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসনে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক রইছউদ্দীন বলেন, “আমাদের কোন দল মত নাই। শিক্ষার্থীদের কল্যানে আমরা কাজ করে যাব। নতুন ক্যাম্পাসের জমি নিয়ে নাকি অনেকে কোটিপতি হয়ে গেছে। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই।”
এসময় মত বিনিময় সভায় জবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন সিকদার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধি মাসুদ, আতিকুর রহমান তানজিলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস কার্যকর হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে
নতুন কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালায় ফোরজি ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতিবিস্তারিত পড়ুন

রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২৩টি সংগঠন মোট ১,৬০৪ বারবিস্তারিত পড়ুন