জমি পাবেন ইজ্জত দেয়া সেই রোজিনারা [ভিডিও]
দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবৈধ ভূমি বন্দোবস্ত, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, হরিণ শিকার, জলদস্যুদের দৌরাত্মসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে সরেজমিন সংবাদ প্রকাশ করছে অনলাইন নিউজপোর্টাল। ‘কেমন আছো উপকূল’ শিরোনামে ধারাবাহিক সংবাদগুলো প্রকাশের পর টনক নড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর।
বিষয়গুলো সরেজমিন তদন্ত করতে গত ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হাতিয়া পরিদর্শনে যায়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে সংবাদগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে নিউজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সিন্ধান্ত হয়।
সংবাদগুলোতে সরকারের খাস জমি পাওয়ার উপযোগী ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত না করে টাকার বিনিময়ে বিত্তবানদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেয়ার চিত্র উঠে আসে। নদী ভাঙার কবলে সর্বস্ব হারিয়ে সাগরের বুকে জেগে ওঠা নতুন চরে আশ্রয় নেয় ভূমিহীনরা। তাদের দখলে থাকা একখণ্ড ভূমি রক্ষায় ইজ্জতও দিয়েছেন অনেকেই। এতেই খ্যান্ত হয়নি ভূমি দস্যুরা, ইজ্জত নেয়ার পর হত্যাও কয়েছে চার নারীকে।
ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্বে উঠে আসে নিজের দখলীয় ও বন্দোবস্ত পাওয়া খাস জমি রক্ষায় রোজিনা নামের এক গৃহবধূর করুণ চিত্র। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘ইজ্জত দিয়েও খাসজমি পায়নি রোজিনারা’।
সংবাদটি প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। রোজিনাসহ অন্যসব ভূমিহীন পরিবারের খোঁজখবর নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসানাত মো. মঈন উদ্দিন। তিনি টেলিফোনে জানান, রোজিনাসহ অসহায় এসব ভূমিহীন নারীদের জন্য তিনি ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া অবৈধভাবে বন্দোবস্ত দেয়া সব নথি বাতিল করতে সাধ্যমতো চেষ্টাও করবেন।
https://youtu.be/u0gusT18bg8
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সতের বছর বয়সী এক কিশোরীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন
নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাবিস্তারিত পড়ুন