জরিমানা মেটাতে চার সন্তানকে বিক্রি
জরিমানার টাকা শোধ করতে পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদে নিজের চার সন্তানকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন গোলাম রসুল কাটোহার নামের এক বাবা।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যকার আদালতের ‘জিরগা’ বিধান অনুসারে গোলাম রসুলের দেড় মিলিয়নের বেশি অর্থ জরিমানা করা হয়।
সেই টাকা শোধ করার জন্যই নিরুপায় হয়ে বাবা গোলাম রসুল স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার চার সন্তানকে বিক্রি করতে বসেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে গোলাম রসুল জানান যে, তারা জ্যাকোবাবাদের নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দা।
তার সন্তান গোলাম সাব্বির কাটোহারকে ভিন্ন গোত্রের নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে জরিমানা করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর আগে গ্রাম্য বিচারে ওই রায় ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু গোলাম রসুলের পক্ষে ওই পরিমান অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনা অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিন্ন গোত্রের করা জরিমানার অর্থ শুধু গোলাম রসুল পরিবারেরই দেয়ার কথা নয়।
উপরন্তু গোটা কাটোহার সম্প্রদায়কেই এই জরিমানার টাকা দেয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি মোট তিন কিস্তিতে অপরাধী পরিবারটি এই সম্মিলিত অর্থ পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছি।
কিন্তু কাটোহার সম্প্রদায়ের অন্যান্য পরিবারগুলো এই দায় নিতে না চাওয়ায় পুরো অর্থই গোলাম রসুলকে দিতে হবে। ঠিক এরকমই এক অবস্থায় গোলাম রসুল তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কারণ যদি ওই পরিমান অর্থ জরিমানা আকারে দেয়া না হয়, তাহলে জিরগার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোলাম রসুলের অভিযুক্ত ছেলেকে হত্যা করা হতে পারে।
স্থানীয় আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
কারণ যেহেতু বিষয়টি আদিবাসীদের আদালতের, তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়।
তবে অভিযুক্ত পরিবারের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে বলে জানায় জ্যাকোবাবাদ পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন