জলের গভীরে যেখানে জিপিএস কাজ করে না সেখানে চলবে ড্রোন! এই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন কলকাতার মেয়ে সম্প্রীতি ভট্টাচার্য। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তাঁর এই আবিষ্কার তাক লাগিয়ে দিয়েছে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের। তাঁর তৈরি এই ড্রোনের নাম হাইড্রোসওয়ার্ম। এটি সমুদ্রের তল পরিমাপও করতে পারবে। এই ড্রোন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও তৈল সংস্থাগুলির কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ফোর্বস পত্রিকায় যুগান্তকারী আবিষ্কারকদের ৩০ জনের তালিকায় নাম এসেছে সম্প্রীতির। বছর সাতেক আগে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ ছাড়েন সম্প্রীতি। আপাতত তিনি ম্যাসাচুসেটস ইউনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পিএইচডি করছেন। গবেষণার কাজ করতে গিয়েই তিনি এই ড্রোন আবিষ্কার করেন। জলের তলায় নেভিগেশন চালু হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ম্যাপের। এটি সমুদ্রতলে গিয়ে সমুদ্রের ম্যাপ তৈরি করতে পারে। সমুদ্রের তলার দূষণও মাপা সম্ভব এই যন্ত্রের সাহায্যে।

কিছুদিনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সেইসময় টাইম অফ ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিশেষ ড্রোনের কথা জানান তিনি। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সম্প্রীতি। এরপর সেন্ট থমাস কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যারোস্পেস নিয়ে পড়াশোনা করে এখন এমআইটি-তে রোবোটিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সবসময় তাঁর ইচ্ছা ছিল জলের তলায় চলতে পারে এমন রোবট বানাবেন তিনি। কারণ সমুদ্র তল পরিমাপ করার কোনও নির্দিষ্ট যন্ত্র নেই। যুদ্ধজাহাজের গতি প্রকৃতি জানতে একধরনের জলযান ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তা অত্যন্ত খরচবহুল।