মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জল বন্ধ হলেই দম বন্ধ হবে! মোদীকে খতমের হুঁশিয়ারি পাক নেতার

সিন্ধু নদের জলবণ্টন ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিরোধিতা করে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের এক ইসলামিক নেতা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামি নেতা সিরাজুল হক। শনিবার তিনি করাচিতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছেন যে তিনি আমাদের নদীগুলি বন্ধ করে দেবেন। আমি আজ করাচিতে, মহান নেতা মহম্মদ আলি জিন্নার সমাধির কাছে দাঁড়িয়ে মোদীকে জানাতে চাই যে, ওঁর হাতে এমন কোনও রেখা নেই যার জোরে তিনি যা এমন সব কথা বলতে পারেন। মিস্টার মোদী, যদি আমাদের জল বন্ধ করেন, তবে আমরা আপনার দমবন্ধ করে দেব।’

এই বিস্ফোরক ভাষণটি উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার পঞ্জাবের একটি সভায় বলেন, যে বিপাশা, শতদ্রু ও রবি— এই তিনটি নদীর উপরে ভারতের অধিকার থাকলেও এই নদীগুলির জল ভারতের কৃষকের কোনও কাজে লাগে না। সব জল চলে যায় পাকিস্তানে এবং শেষমেশ সমুদ্রে। তিনি অভিযোগ করেন যে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে একাধিক সরকার ক্ষমতায় এলেও এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। আর এভাবে চলতে পারে না।

গত সপ্তাহে পঞ্জাবে একটি জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই জল পাকিস্তানও ব্যবহার করছে না আবার ভারতীয় কৃষকদের কাছেও পৌঁছয় না। আমি একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করছি। আমি কথা দিচ্ছি, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী ভারতের প্রাপ্য জলের এক এক বিন্দু ফিরিয়ে দেওয়া হবে পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তের মানুষের কাছে…।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীর জল পাকিস্তানে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কথা একবারও বলেননি। তবু নদীর জল ব্লক করার কথা উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন জামাত নেতা। সিন্ধু উপত্যকার জলবণ্টন নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৬০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে। এই চুক্তির পিছনে মুখ্য ভূমিকা ছিল ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক সংস্থার। এই চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু উপত্যকার পূর্বদিকের নদনদীগুলি ( বিপাশা, রবি, শতদ্রু) নিয়ন্ত্রক ভারত ও পশ্চিমদিকের নদনদীগুলির (সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলম) নিয়ন্ত্রক পাকিস্তান। যেহেতু সিন্ধু উপত্যকার নদীগুলির উৎসস্থল ভারত, তাই নদীগুলির জল কীভাবে বণ্টিত হবে দু’দেশের মধ্যে সেই নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিল।

পাকিস্তানের আশঙ্কা ছিল যে এই নদীগুলির জল থেকে ভারত তাদের বঞ্চিত করতে পারে এবং যুদ্ধের সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খরা তৈরি করতে পারে। মূলত এই আশঙ্কা থেকেই এই চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। জলবণ্টন নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও এই চুক্তি কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের অন্যতম সফল জলবণ্টন চুক্তি। এখনও পর্যন্ত এই চুক্তি সংক্রান্ত যে সমস্যাই হয়েছে, তা কাগজে-কলমেই মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে কোনও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেননি। তিনি শুধুমাত্র পর্যালোচনা করে দেখতে চাইছেন কীভাবে ভারত তার নদীর জল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। তাই এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে জামাত নেতার হুঁশিয়ারি অত্যন্ত আপত্তিজনক।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ