জাতীয় উদ্যানে দেহব্যবসার জাঁকজমক বাজার! (ভিডিও)
পাঠক, একটা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আজকের আয়োজন শুরু করবো। বলুনতো বনের সবচেয়ে হিংস্র জন্তুটির নাম কি? পাঠক, এমন প্রশ্ন করার পর নিশ্চই বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ কিংবা অন্য কোন প্রানীর নাম ভাবছেন। আসলে ভাবনাটা আসতেই পারে। কিন্তু একটু অন্যভাবে ভেবে দেখুনতো বন ধংসের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী যে, তাকে যদি আমরা হিংস্র বলি তাহলে সেই ব্যক্তিটি কে?
পাঠক ওয়ান ইলেভেনের (১১-০১-১৪) সেনা শাসিত তত্বাবধায়ক সরকারের কথা মনে আছে তো? সেইযে বনের রাজার বাড়ির রান্নাঘরের হাড়ি-পাতিল কাথা-বালিশ এমন কি বাথরুমের কমডের ভেতর থেকেও টাকার বান্ডিল বেরিয়েছিল।
পাঠক, বনের সেই রাজাদের সাজা হয়েছিল কিন্তু নিধন করা সেই রাজাদের প্রজারাই এখন এক একজন বন্য রাজা। বন্য রাজাদের নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
গাজীপুরের প্রায় ৬৫ হাজার বন বিভাগের জমির মধ্যে প্রায় ১২ হাজার একর বেহাত হয়েছে অনেক আগেই। বাকি ছিলো ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের জমিটুকু।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, লিজের নামে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে চলছে পতিতালয় বানানোর পায়তারা। আর অসামাজিক কার্যকলাপের টাকা পকেটে ভরে চুপ থাকছে বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুল হকসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
রাজধানীর পাশেই প্রায় আড়াই হাজার একর বিশাল বনভুমির উপর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। গাজিপুরের মানুষের কাছে শোনা যায়, এই বনে একসময় বাঘ ভালুক থেকে শুরু করে সব ধরনের বন্য প্রানীর বসবাস ছিল। কিন্তু এখন বনের ভুমি দস্যূদের দাপটে বন্য পশুরাই ভয়ে পালাতে শুরু করেছে।
বনের তিন নম্বর গেটের আরেক নাম ভিআইপি গেইট। গেটের পাশেই সরকারের কোটি-কোটি টাকা খরচ করে বেশ কয়েকটি কটেজ আর রেস্ট হাউজ বানানো হয়েছে, যেখানে বনে ঘুরতে আসা ভিআইপিদের বিশ্রাম নেওয়ার কথা থাকলেও সেখানের দৃশ্যপটে থাকে ভিন্ন কিছু।
ভিআইপি গেটের পাশেই বন কর্মকর্তার কার্যালয়। সেখানেই যখন এ অবস্থা তখন অন্য গেটের অবস্থা জানতে ৪ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই এক রিক্সাওয়ালা ডাকলেন, মামা লাগবে নাকি? কি লাগবে সেটা মামার মুখেই শোনা গেলো। বললো দুইশা টাকায় কঁচি মাল।
বনের আরেকটু ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় সেখানে ক্রমেই বাড়ছে অনেক মানুষের আনাগোনা। কিছুদূর এগুলেই মোটামুটি দেহ ব্যবসার এক জাঁকজমক বাজার।
সেখানে গিয়ে কথা হয় বন বিভাগের এক প্রহরীর সাথে। তার কাছে জানা যায় কারা কারা এসব অসামাজিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সে বলছিল, বনের আরও ভেতরে ঢুকলে আরও সুন্দরীদের পাওয়া যাবে। কিন্তু তাদের ফাঁদে যারা পা দিয়েছে, তাদের অবস্থাটা কি?
এত কিছুর পরও কারও কিছু করার নেই। কারন দেহ ব্যবসায়ীদের প্রতিজন ইজারাদের কাছে জমা দেন দেড় হাজার টাকা। সেখান থেকে ৫শ টাকা যায় বন কর্মকর্তা বজলুল হকের টেবিলে। অবশ্য এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলেও অফিস ছেড়ে পালান বজলুল হক।
পাঠক এসকল দেহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একুশে টেলিভিশনের নিয়োমিত আয়োজন ‘একুশের চোখ’ প্রচার করে অনুসন্ধান রিপোর্ট।
পাঠক চলুন দেহ ব্যবসায়ীদের এই রিপোর্ট টি ভিডিওতে দেখে নেওয়া যাক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন