জাতীয় দলে ফিরতে আশাবাদী লিটন
গত বছরের ১০ জুন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটন কুমার দাসের অভিষেক। সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন গত বছরের ১৩ নভেম্বর। ছয় মাসে ৩ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি এবং ৯ ওয়ানডে খেলেছেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছয় মাসে মনে রাখার মত কিংবা চোখ ধাঁধানো কোনো পারফরম্যান্স করতে পারেননি লিটন।
অথচ লিটন মানেই দূর্বার, দূরন্ত, রান মেশিন। এক মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ১০২৪ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৬৮৬ রান করে নিজেকে জাতীয় দলের জন্যে যোগ্য দাবিদার হিসেবে আবির্ভাব করেন লিটন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছয় মাসে একাধিক সুযোগ পেলেও হাসেনি লিটনের ব্যাট। মোট ১৫ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি ১টি।
তবে যতটুকু সময় খেলেছেন ততটুকু সময় ক্রিকেটবোদ্ধাদের মন কেড়েছেন। তার ব্যাটিং শৈলী মুগ্ধ করেছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। কিন্তু দিন শেষে যে রানই ‘কাউন্ট’ হয় তা তো বুঝতে একটু সময় লেগেছে লিটনের। জাতীয় দলের জায়গা হারিয়েছেন সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের আগে। বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে যে কি পরিমাণে অনুভব করেছেন তা শুনুন লিটনের মুখ থেকেই, ‘জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমটাকে খুব মিস করি। মাঝে মাঝে মনে হয় টিম খেলতেছে, আমি যদি ওই টিমে থাকতে পারতাম। মাঝে মাঝে নিজের কাছে মনে হয় কিছু একটা কমতি আছে বলেই আমি বাইরে। তাই আমি ওই ঘাটতি নিয়েই কাজ করতেছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে লিটন যেভাবে দাপিয়ে বেরিয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে সেভাবে পাওয়া যায়নি। গুটিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছিলেন না নিজের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু কেন? অনেকেই বলেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ নিতে পারেননি লিটন। তবে লিটনও বলছেন একই কথা, ‘আপস-ডাউনস এর একটা বিষয় থাকে। হয়তো আমি ভালোভাবে ওই জায়গাটাতে সেট হতে পারি নাই, চাপ নিতে পারিনি।’
ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকা অবস্থায় দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক মাশরাফি ও মুশফিককে কাছে পেয়েছিলেন লিটন। তার পাশেই ছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। লিটনও সে কথাটা স্বীকার করলেন, ‘কোচ, অধিনায়ক সবারই আমার উপর আস্থা ছিল। সবাই আমাকে জাতীয় দলে চেয়েছিল।ওভারঅল সব সময় পারফরম্যান্সকেই বিবেচনায় আনা হয়। যে যেখানে পারফরম্যান্স করবে তারা সেখানেই খেলাবে।’
তবে এখানেই থেমে যেতে চান না ২১ বছর বয়সি এ ব্যাটসম্যান। আবারো ভালো খেলে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে চান জাতীয় দলে। উদ্যমী এ ক্রিকেটার বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বললেন, ‘পরবর্তীতে যে হতে পারবো না, এমন কোনো কথা নেই।’
বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের ভুলগুলোকে ধাপে ধাপে শুধরে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন লিটন।এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এখন শুধু সামনে এগিয়ে চলা। শুধু ব্যাটিং না কিপিংয়েও মনোনিবেশ লিটনের। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের ভাষ্য,‘ব্যাটিং, কিপিংয়ে ফোকাস করছি। এখনো আগের মত দুটোকেই সমানতালে মেইন্টেন করি। ব্যাটিং এক ঘন্টা করলে কিপিং আধঘন্টা করি।আবার কোনো দিন কিপিং এক ঘন্টা, ব্যাটিং আধঘন্টা।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন