জাতীয় সমবায় দিবস আজ
৪৪তম জাতীয় সমবায় দিবস আজ। সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি একত্রিত করে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহরের নিম্নআয়ের মানুষের কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি, উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব। এ লক্ষ্যে সরকার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি, একটি বাড়ি একটি খামার, চর জীবিকায়ন কর্মসূচি, কর্মসংস্থান ব্যাংক সৃষ্টিসহ নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ফলে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে।
দারিদ্র্য দূরীকরণ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ পারস্পরিক ঐক্য ও সহমর্মিতা সৃষ্টিতে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেশব্যাপী আজ দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সমবায় উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন।’
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং দেশের সমবায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় সমবায় দিবসে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সমবায়ী ভাই-বোনদেরকে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সমবায় আন্দোলন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করে শোষণহীন সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি সংবিধানে সমবায় ও সমবায়ী মালিকানাকে বিশেষ গুরুত্ব এবং মর্যাদা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সৎ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিসহ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তিতে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। উন্নয়নের এ গতিধারা চলমান রাখার স্বার্থে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমবায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।
জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমবায়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমবায়কে অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
তিনি দেশের সকল সমবায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে সমবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। একটি বাড়ি একটি খামার ও আশ্রয়ণসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, শুধু চাকরির প্রত্যাশায় না থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মূলধন একত্রিত করে সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সকলে এগিয়ে আসবেন। এতে উদ্যোক্তাগণ অর্থনৈতিকভাবে নিজেরা লাভবান হবেন। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক সংহতি গড়ে উঠবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দেশ ও জাতি আরো এগিয়ে যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন