জাতীয় সম্মেলনে যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন উদ্বোধন করে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেছেন শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে ১০টির বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনে শেখ হাসিনা যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন টা সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১. প্রতিটি মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং এই শিক্ষা হবে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক। কারিগরি শিক্ষা, ভকেশনাল ট্রেনিং যেন পায় এর ব্যবস্থা করা।
২. বাংলাদেশ থেকে পুষ্টিহীনতা দূর করা। যে শিশুটি জন্ম নেবে, সে যেন পুষ্টিময় জীবন পায় সে জন্য এরই মধ্যে মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং মাতৃদুগ্ধ দানকারীদের ভাতা দেয়া শুরু হয়েছে। পুষ্টিহীনতা দূর করে সারা দেশের মানুষ যেন সুস্বাস্থের অধিকারী হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া।
৩. বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুপেয় পানি পায় এবং সেনিটেশন ব্যবস্থা উন্নত মানের হয়- সে ব্যবস্থা করা।
৪. তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গঠন করা হবে। সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে, প্রত্যেকটা মানুষ যেন ইন্টারনটে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একে একে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করা এবং সবাইকেই কম্পিউটার শিক্ষা দেয়া।
৫. কর্মক্ষেত্রে কোনো নারী পুরুষের বৈষম্য থাকবে না। সকলেই যার যার কর্মস্থলে সমান সুযোগ পাবে-সেটা আমরা নিশ্চিত করা।
৬. জলবায়ু পরিবর্তনের আঘাত থেকে এ মানুষকে মুক্ত করার যে কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা।
৭. কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। প্রতি ঘরে আলো জ্বালানো হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এটাকে আরও বাড়য়ে প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া।
৮. সমগ্র বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে শিল্প কল্ কারখানার প্রসার ঘটানো।
৯. আমাদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হবে। যাতে করে মানুষ কৃষি কাজের প্রতি উৎসাহ না হারিয়ে ফেলে সে জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার প্রসারিত করা।
১০. প্রতিটি গ্রামে গৃহহারা মানুষদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া। এ জন্য দলের নেতা-কর্মী এবং সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদেরকে হতদরিদ্রদের তালিকা করার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।
১১. রাজধানী সঙ্গে গ্রাম পর্যন্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যার জন্য সড়ক পথ, নৌ পথ রেল পথের উন্নতি করা। পাশাপাশি বিমান যোগাযোগের উন্নতি করে বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্বের মধ্যে যোগাযোগের হাবে পরিণত করা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন