জানা উচিত সকলের হার্ট অ্যাটাকের পর যা যা করবেন না
হার্ট অ্যাটাক একটি জটিল সমস্যা। রক্তনালি কোনো কারণে ব্ন্ধ হয়ে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম বন্ধ হওয়াকে ‘হার্ট অ্যাটাক’ বলে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের কারণ। এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। না হলে রোগীকে অনেক সময় বাঁচানো যায় না।
হার্ট অ্যাটাকের পর সুস্থ হয়ে ফিরে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা জরুরি। এগুলো এড়িয়ে গেলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই-এর স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. ধূমপান না করা
যদি আপনি ধূমপায়ী না হোন, তাহলে তো ভালোই। তবে যদি ধূমপায়ী হোন, তবে হার্ট অ্যাটাকের পর সর্বপ্রথমে এটি বন্ধ করতে হবে। ধূমপান রক্তের প্রবাহকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আর্টারির দেয়ালকে পুরু করে দেয়। এতে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
২. চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যান
স্যাচুরেটেট ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। চর্বিজাতীয় খাবার খেতে খুব পছন্দ করলে হয়তো এ অভ্যাস বাদ দেওয়া আপনার জন্য একটু কঠিন হবে। তবে হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থভাবে ফিরে আসার পর অবশ্যই এই খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। এই খাবারগুলো আর্টারির দেয়ালে প্লাক তৈরি করে এবং রক্তের প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্রক্রিয়াজাত পনির, লাল মাংস ইত্যাদি স্যাচুরেটেট ফ্যাটজাতীয় খাবার।
৩. চিনি এড়িয়ে যান
পেস্ট্রি, মিষ্টি, চকলেট ইত্যাদি খাবার হার্ট অ্যাটাকের পর এড়িয়ে যাবেন। এগুলো রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এতে হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৪. লবণ কম খান
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা হার্ট অ্যটাকের ঝুঁকিতে থাকেন, তাঁদের লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত। তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৫. কোলেস্টেরল বাড়তে দেবেন না
শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার পর তাই আরো সতর্ক হতে হবে। মাখন, ঘি, তেলযুক্ত খাবার ইত্যাদি খাদ্যাতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আর প্রায়ই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৬. ব্যায়াম থামাবেন না
হার্ট অ্যাটাকের পর সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক ব্যায়াম খুব জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন বা সাইকেল চালাতে পারেন।
৭. ওজন বাড়াবেন না
হার্ট অ্যাটাকের পর ওজন একেবারে বাড়তে দেওয়া যাবে না। বাড়তি ওজনও হৃদরোগের একটি বড় কারণ। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৮. শারীরিক অন্যান্য অবস্থা
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, যেমন : ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্ণতা, হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই এসব সমস্যার বিষয়ে সতর্ক হোন। এগুলো থাকলে চিকিৎসা করান এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৯. উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। হার্ট অ্যাটাক থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই এদিকে নজর দিতে হবে, যেন রক্তচাপ বেশি না বাড়ে।
১০. লক্ষণ এড়িয়ে যাওয়া
হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হওয়ার পর শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে কিছু লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না। বিষণ্ণতা, বুকে ব্যথা, প্রচুর ঘাম, ঘুম ঘুম ভাব, পা ফোলা ইত্যাদি। এগুলো হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন