জামালপুরে দুই বোনকে গলা কেটে হত্যা
জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী শামীম মিয়ার স্কুল পড়ুয়া দুই কন্যা ভাবনা খাতুন (১৪) ও লুবনা আক্তার (৯) কে আজ বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক এবং নিহত দ্বয়ের মা তাসলিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ, নিহত ভাবনা খাতুনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ যুবকের সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তায়ন এবং নিহতদ্বয়ের মায়ের পরকীয়া প্রেমসহ তিনটি ঘটনার যেকোন কারণে এ অমানবিক জোড়া খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়া প্রবাসী সামিউল হক শামিমের বড় মেয়ে ভাবনা খাতুন জামালপুর সদর উপজেলার রহিমা কাজেম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং ছোট মেয়ে নিহত লুবনা আক্তার মেষ্টা ইউনিয়নের জহুরুল হক স্মৃতি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনা জেনে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি ও জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওনক জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৮ সদস্যদের একটি দল এবং বিপুল পরিমাণ র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার দেউলিয়াপাড়া গ্রামের শামিম মিয়া তিন বছর আগে থেকে মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন। গত দুই মাস আগে তিনি নিজ বাড়িতে ছুটিতে এসে ২০ দিন আগে তিনি আবারও মালয়েশিয়াতে চলে গেছেন। এরপর থেকে শামিম মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী তাসলিমা বেগম, বড় কন্যা ভাবনা খাতুন (১৪) এবং ছোট কন্যা লুবনা আক্তার (৯) বসবাস করতো।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে মা তাসলিমা বেগম নিজ বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। সে ওই রাতে জামালপুর শহরের বাগেরহাটা বটতলা এলাকায় তার বাবা তাইজুল ইসলাম তাজুলের বাড়িতে ছিলেন।
পরদিন সকালে বাড়িতে ফিরে দুই কন্যা ভাবনা খাতুন এবং লুবনা আক্তারকে গলাকাটা অবস্থায় লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার কান্নাকাটি শুরু করেন। এ ঘটনা জেনে প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে এলাকাবাসীসহ বিপুল পরিমান পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।
জামালপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহতদের দাদা ওয়ারেছ আলী, প্রতিবেশী বিলাস মিয়াকে আটক এবং নিহত দ্বয়ের মা তাসলিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি বুধবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, জোড়া খুনের এই ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক ও রহস্যজনক। ওই সময় এলাকাবাসী এঘটনার বিচার দাবি করলে ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি বলেন ঘটনার ক্লু উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। এ হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন