জামালপুর শিশু ফোরামের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মননা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শিক্ষা জীবনের অগ্রসরমান গতিকে আরো বেগবান করতে জামালপুরে গত এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দিয়েছে জামালপুর শিশু ফোরাম।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সহযোগিতায় এ সম্মাননা প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন মালয়েশিয়ার কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর শু.ই তান, এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার আইপি জোয়ান লাই, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, ওয়ার্ল্ড ভিশনের (এসিও) সিনিয়র ম্যানেজার সেবাষ্টিয়ান পিউরিফিকেশন, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, পরিচালক (কর্মসূচি) মুর্শেদ ইকবাল, ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুরের এপির এরিয়া ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা, উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ম্যানেজার মিনারা পারভীন, সুইডের সাধারণ সম্পাদক অজয় পাল, শিশু ফোরামের সভপতি মোস্তাকিম হাসান হৃদয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিশু ফোরামের সদস্য অর্পা ও মেহেদী। উল্লেখ জামালপুর পৌরসভা, লক্ষিরচর ও পৌরসভার শিশু ফোরামের ১৯ সদস্য এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় তাদেরকে সম্মাননা দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা পুরস্কৃত ও সম্মানিত হওয়ায় উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়।
জানা যায়, শিশু ফোরামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং ফোরামের এবং আদিবাসী শিশু শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়নাধীন আছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২০ হাজার উপকারভোগী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সুবিধা গ্রহণ করছে। বিশেষ করে শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় এপি ১০ বছর মেয়াদী কাজ করছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন, শিশু ফোরাম, যুব ফোরাম নিজেদের এলাকার উন্নয়নে নানামূখী কাজ করছে।কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং ও মালয়েশিয়া।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন