জামায়াতকে বিএনপি কেন বাদ দেবে, গয়েশ্বরের প্রশ্ন!
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াত আমাদের সাথে থাকবে, তাকে বাদ দেব কেন? বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নিঃশর্তভাবে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন দল মতের উর্ধ্বে থেকে। সেখানে ইস্যু ছিল উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ। তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ঐক্যের ডাক দেন নি। যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করেন না, অগণতান্ত্রিক শক্তিকে বিশ্বাস করেন না তারা নিঃশর্তভাবেই নেত্রীর ডাকে একত্রিত হবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল জামায়াত সমস্যা না উগ্রবাদ সমস্যা। জামায়াতি ইসলামের প্রশ্নটা অত্যন্ত রাজনৈতিক। সুতরাং আজকে রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে আমাদের সাথে থাকবে তাকে বাদ দিব কেন।
বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯৭৮ সালের এই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকা কালে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেশ কয়েক বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলেও সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় বর্তমানে দলটি সংসদের বাইরে আছে। কাউন্সিলের বেশ কয়েক মাস পর সম্প্রতি দলটি নতুন করে কমিটি ঘোষণা করেছে। যদিও সেখানেও নানান অসন্তোষ রয়েছে। অন্যদিকে কয়েক দফা আন্দোলনের পর দলটির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ও অনেকে রয়েছে কারাগারে। সব মিলিয়ে বিএনপি এখন কি ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, বিএনপির প্রথম প্রতিশ্রতিটাই ছিল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ অর্থাৎ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই গত ৩৮ বছর ধরে আমরা নিরলসভাবে লড়াই করে যাচ্ছি। কিন্তু বারবারই নানা পারিপার্শি¦ক কারণে গণতন্ত্র হোঁচট খাচ্ছে এবং আজকে গণতন্ত্র অনেকটা নিখোঁজ।
কমিটি ঘোষণার পরও অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা পদত্যাগ করেছেন, দলের ভেতরে আপনারা কতটা ঐক্যবদ্ধ আছেন সে প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি পদত্যাগের কথা শুনেছি কিন্তু বাস্তবে পদত্যাগের কথা জানি না কারণ তার কোন বাস্তবতা নাই। একটি বড় রাজনৈতিক দল সেখানে আরও বড় কমিটি হলেও কিছু লোকের ক্ষোভ থাকবেই। কারণ কিছু লোক আছে সবকিছুতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে। নানা ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে নানান ধরনের মানুষ রাজনীতি করে।
বিরোধী দলে যাওয়ার পরে বিএনপি গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি আন্দোলন জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাতে পুরোপুরি সফল হয়নি। আবার অনেক নেতাকর্মীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে, অনেকে কারাগারে আছেন বতর্মান পরিস্থিতি আপনারা কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অর্ধশত মামলা মোকাবেলা করছি। আমার চেয়ে বেশি মামলা আছে তৃণমূল পর্যায়ে। একটা দেশে নুন্যতম গণতন্ত্র থাকলে বিরোধী দলকে নিঃশেষ করার জন্য এত ধরনের অনৈতিকভাবে মামলা দেওয়া হত না। এগুলিকে মোকাবেলা করে আমরা টিকে আছি। জনগণের সমর্থন আছে বিধায় আমরা আগামী দিনের পথে আমরা এগিয়ে যাব। আমরা অনেক কিছু করতে পেরেছি আবার অনেক কিছু করতে পারি নাই। শেষ ভাল যার সব ভাল তার। গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে একদিনে ফলাফল চোখে দেখা যায় না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন